ধৃত দেবাঞ্জন সেন এবং ([ডান দিকে) কুশল চক্রবর্তী।
তেতলা বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দেখা দিয়েছে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সেনহাটি কলোনিতে। মৃতের নাম কুশল চক্রবর্তী (২৮)। পরিবারের অভিযোগ, কুশলকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে তাঁরই বন্ধু দেবাঞ্জন সেন ওরফে বিতান। অভিযোগের ভিত্তিতে বিতানের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা রুজু করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার প্রাতর্ভ্রমণের সময়ে এলাকার এক বাসিন্দা বিতানের বাড়ির ছাদে দুই যুবককে মারপিট করতে দেখেন। প্রাতর্ভ্রমণ সেরে ফেরার সময়ে তাঁর চোখে পড়ে, বিতানের বাড়ির নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন কুশল। তাঁকে প্রথমে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গভীর রাতে মারা যান তিনি।
কুশলের মাসি দেবিকা মজুমদার মঙ্গলবার বলেন, ‘‘রবিবার রাত ১২টা নাগাদ মদ খাওয়ার জন্য বিতান তার বাড়িতে ডাকে কুশলকে। সারা রাত কুশল সেখানেই ছিল। সোমবার ভোরে সে ভাই কুণালকে ফোন করে জানায়, একা ফিরতে পারবে না। কুণাল এসে যেন ওকে নিয়ে যায়।’’ দেবিকা জানান, কুণাল বিতানের বাড়িতে পৌঁছনো মাত্র রাস্তায় দাদাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
কুণালের অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিতান ও কুশলের মধ্যে বচসা হয়েছিল। তখনই কুশলকে ছাদ থেকে ফেলে দেয় বিতান। তবে স্থানীয়েরা পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে কুশল ছাড়াও তাদের আর এক বন্ধুকে বাড়িতে ডেকেছিল বিতান। দেবিকা বলেন, ‘‘মৃত্যুর আগে হাসপাতালে কুশল তার ভাইকে জানিয়েছিল, বিতান তাকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে।’’ কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন, ওই দু’জনের মধ্যে এমন কী কথাবার্তা হয়েছিল যে, ছাদ থেকে পড়ে মারা গেলেন কুশল? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।