এক তরুণীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে একটি বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের চার ছাত্রকে গ্রেফতার করল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। শনিবার, সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে। পেশায় বিমানসেবিকা ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত আমনদীপ সিংহ, আকাশ শর্মা, বসপাল শ্রীবাস্তব ও শোভন মোহান্তিকে রবিবার আদালতে তোলা হলে জামিনে মুক্তি পান তাঁরা।
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ ওয়েবেল টেকনোপলিসের কাছে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই বিমানসেবিকা ও আর এক তরুণী। বিমানসেবিকার অভিযোগ, ধৃতেরা গাড়ি করে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর উদ্দেশে কটূক্তি ও অশালীন আচরণ করতে থাকেন। গাড়িতে তুলে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। তিনি রুখে দাঁড়ালে শুরু হয় বচসা। ইতিমধ্যে টহলদার পুলিশের দল হাজির হলে তাঁরাই চার ছাত্রকে ধরেন। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়ে থানায় যান ওই বেসরকারি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের কয়েক জন কর্তাব্যক্তি। ধৃতেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহেই সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে চলন্ত অটোয় এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। পর পর এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ সল্টলেকের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের ক্ষেত্রে সরকার বাড়তি গুরুত্ব দেয়। ২৪ ঘণ্টা তথ্যপ্রযুক্তির কাজ চলে। সেখানে ব্যস্ত ওই রাস্তায় কী ভাবে এমন সাহস পায় অভিযুক্তেরা? তা হলে নজরদারি কোথায়?
বিধাননগর পুলিশের একাংশের বক্তব্য, নজরদারি ছিল বলেই দ্রুত অভিযুক্তদের ধরা গিয়েছে। এমন ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এক পুলিশকর্তা জানান, নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির এক কর্তা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা শিল্পতালুকের ভাবমূর্তিতে আঘাত করে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তবে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”