প্রতীকী ছবি।
এলাকার গরিব মানুষদের ত্রাণ বিলি করে বাড়ি ফিরেছিলেন এক যুবক। কিছু পরেই ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। কয়েক ঘণ্টা পরে বাড়ির অদূরে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আতিয়ার মোল্লা (৩৪)। তাঁর গলায় এবং নিম্নাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে, দেগঙ্গা থানার হাদিপুর-ঝিকরার এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় ডাব ব্যবসায়ী আতিয়ারের বিরাটিতে ব্যবসা রয়েছে। লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ থাকায় সোমবারপাড়া এবং আশপাশের এলাকায় ত্রাণ বিলি করেন আতিয়ার। তাঁর স্ত্রী তাসলিমা বিবি বলেন, ‘‘সন্ধ্যে সাতটায় বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরেন উনি। আটটা নাগাদ ফোন পেয়ে কাজ আছে বলে বেরিয়ে যান।’’ কিন্তু রাত দশটা নাগাদ হাদিপুর এলাকাতেই আতিয়ারের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়েরা। আতিয়ারের এক আত্মীয় তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘সোমবার সারা দিন ওর সঙ্গে ছিলাম। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের কথামতো চাল বিলি করি। তার পরে দু’জনে গল্প করে বাড়ি চলে যাই। আমার মনে হয়, ওকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিচিত কেউ পরিকল্পনা করে খুন করেছে।’’
আরও পড়ুন: এনআরএসের পুনরাবৃত্তি, করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর জেরে বন্ধ মেডিসিন বিভাগ, কোয়রান্টিনে চিকিৎসক
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের দেহের পাশে তাঁর স্কুটারটিও পড়ে ছিল। উদ্ধার হয়েছে তাঁর মোবাইল। সেই ফোনের সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর। মঙ্গলবার তাসলিমাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ থাকা রোগীর মৃত্যু, দেহ নিতে অস্বীকার পরিবারের, আতঙ্ক মেডিক্যালে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)