প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
মাত্র দেড় হাজার টাকার জন্য এক মহিলাকে গলা কেটে খুন করল আততায়ী। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব কলকাতার তিলজলা থানা এলাকার তিলজলা লেনে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে তিলজলার একটি বাড়ির পাঁচ তলার দরজার তালা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৩৭ বছরের নাজনি বেগমকে। তাঁর গলায় ছিল ধারালো অস্ত্রের কোপ। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে নাজিন বেগমকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর নাজনি সেলিম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকতেন।
রবিবার রাতে তাঁর ছেলে মহম্মদ আজাহারউদ্দিন, কর্মস্থল থেকে ফিরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি মায়ের ঘর তালাবন্ধ দেখে মোবাইলে ফোন করেন নাজনিকে। মায়ের ফোন বেজে যাচ্ছে দেখে তাঁরা দরজা খোলার চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন। এরপরে পাড়া-প্রতিবেশীদের ঘটনা জানান নাজনির ছেলে। খবর দেওয়া হয় তিলজলা থানার পুলিশকে। তিলজলা থানার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে নাজনিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পান।
তদন্তে নেমে নাজনির সঙ্গে সেলিম নামে যে ব্যক্তি থাকত তার খোঁজ করে পুলিশ, কিন্তু তার হদিশ পাওয়া যায় না। সেখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ হয়। রাতেই রাজাবাজার থেকে সেলিমকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভোরের আগুনে ভস্মীভূত নারকেলডাঙার ছাগলপট্টি বস্তি
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতেই জেরায় সেলিম খুনের কথা স্বীকার করে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় সেলিম জানিয়েছে, রবিবার রাতেও সে নাজিনের ঘরে গিয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সেলিম নাজনির কাছে দেড় হাজার টাকা চায়। নাজনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে, তাঁর সোনার নাকছাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে সেলিম। তা থেকেই শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে বচসা। সেই বছরের মধ্যেই সবজি কাটার ছুরি দিয়ে নাজনির গলায় আঘাত করে সেলিম। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন নাজনি। এর পর ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে চম্পট দেয় সেলিম। তিলজলা থানার পুলিশ সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হবে। তার কাছ থেকে নাজনির মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাইপাসে বাঁচাও শুনে তৎপর, তরুণীর উদ্ধারে পা ভাঙল মহিলার