প্রতীকী চিত্র।
ঘরের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন এক মহিলা। পাশে বসা তাঁর বন্ধুর শরীরেরও কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ ১০০ ডায়াল মারফত ফোনে এমনই একটি খবর পেয়েছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তারা আজাদগড়ের ওই ঠিকানায় পৌঁছে দু’জনকে উদ্ধার করে। অনিতা সর্দার (৩৮) নামে ওই মহিলাকে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বন্ধু তরুণ সর্দার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা অনিতা পেশায় পরিচারিকা। আজাদগড়ে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বন্ধু তরুণ মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন। ওই ঘরটি এক মাসের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল অনিতার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘর ছাড়া নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে তরুণের প্রবল বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন আচমকাই অনিতা একটি বোতল থেকে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁকে বাঁচাতে এসে অগ্নিদগ্ধ হন তরুণও। দু’জনের চিৎকারে ছুটে আসেন পাশের বাড়ির লোকজন। অনিতা ও তরুণকে ওই অবস্থায় দেখে তাঁরাই ১০০ ডায়ালে ফোন করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে অনিতা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়েছেন। এই ঘটনার জন্য কেউ দায়ী নন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।