শুভেন্দুবাবু জানান, এই জলাভূমিকে বাছার কারণ হল, আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে প্রায় শ’দুয়েক প্রজাতির পাখি এখানে আসত। কিন্তু গত বেশ কিছু বছর ধরে সেই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি প্রজাতির পাখি এই জলাভূমিতে আসে। কেন পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তা নিয়ে এই পড়ুয়ারা গবেষণা করছেন। সেই গবেষণাপত্র শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।
হাতেকলমে চলছে পাঠ। নিজস্ব চিত্র।
নগরায়ণের চাপে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কিন্তু এখনও শহর এবং শহরতলিতে বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যা অনেক পাখির নিরাপদ আস্তানা। কোথায় কোথায় সেগুলি রয়েছে, তা নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি নানা রকম পাখি চেনাতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়া এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ডলাইফ বায়োলজির পড়ুয়াদের বৃহস্পতিবার পূর্ব কলকাতা জলাভূমি এলাকায় হাতেকলমে পাখি চেনানোর পাঠ দিলেন শিক্ষকেরা।
হাওড়ার দীনবন্ধু ইনস্টিটিউশনের ইকোলজি অ্যান্ড বায়োডাইভার্সিটি ইউনিট আয়োজিত এই কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা, ওই কলেজেরই শিক্ষক শুভেন্দু মজুমদার জানান, এ দিন কয়েকশো পড়ুয়াকে স্পটিং স্কোপ, দূরবীন, জিপিএস রেঞ্জ ফাইন্ডার ব্যবহার করা শেখানো হয়। পড়ুয়ারা এতে অত্যন্ত উৎসাহিত। উল্লেখ্য, এ দিন ছিল ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস’। সেই উপলক্ষেই পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে পাখি নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ জোগাতে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই কর্মশালা চলে।
শুভেন্দুবাবু জানান, এই জলাভূমিকে বাছার কারণ হল, আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে প্রায় শ’দুয়েক প্রজাতির পাখি এখানে আসত। কিন্তু গত বেশ কিছু বছর ধরে সেই সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রায় ১৫০টি প্রজাতির পাখি এই জলাভূমিতে আসে। কেন পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে, তা নিয়ে এই পড়ুয়ারা গবেষণা করছেন। সেই গবেষণাপত্র শীঘ্রই প্রকাশিত হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুবাবু।