স্পষ্ট: ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ লেখার উপর দিয়ে যাতায়াত পুণ্যার্থীদের । সোমবার, কালীঘাট মন্দিরে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা। কালীঘাট মন্দিরের ৩ নম্বর গেটের সামনের চাতালের উপরে তখনও ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ লেখা জ্বলজ্বল করছে। আর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে সেই লেখা ঘুরেফিরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
মন্দিরের দু’টি গেটের সামনের চাতালেই ইংরেজি হরফে স্প্রে করে ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ লেখা হয়েছিল। যা সহজে মুছে যাওয়ার রং নয়। শুধু চাতালেই নয়, মন্দির চত্বরের সব রাস্তার আশপাশের দেওয়ালেই একই ভাবে ওই কথা লেখা রয়েছে।
সোমবার মন্দির চত্বরে দাঁড়ানো একাধিক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘শনিবার রাতে একদল লোক স্প্রে গান দিয়ে ওই স্লোগান লিখেছিল। রবিবার অমিত শাহের মন্দিরে আসার যাত্রাপথের নানা জায়গায় ওই স্লোগান লেখা হয়েছে। মন্দির চত্বর-সহ নানা জায়গায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তা ছাড়া ৩ নম্বর গেট থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে পুলিশ কিয়স্কও রয়েছে।’’ ফলে কারা ওই কাজ করল তা নিয়ে সোমবার সারা দিনই মন্দির চত্বরে আলোচনা চলেছে। ওই স্লোগানের প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় পুলিশকর্মীরাও।
স্প্রে পেন্টিং করে লেখা ওই স্লোগান সোমবার সকাল থেকে কালীমন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের কাছে আলাদা করে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল। কারা ওই স্লোগান লিখেছে, কেন তা প্রশাসনের নজরে পড়েনি— এ সব নিয়ে সারা দিনই চলেছে আলোচনা। কারও দাবি, ওই কাজ শাসক দলের সমর্থকদের। কেউ মনে করছেন ওই কাজ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকদের। অনেকে মনে করছেন, মন্দিরের তিন নম্বর গেটের দু’পাশে দু’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেই ফুটেজ পরীক্ষা করলেই ওই ঘটনায় কারা জড়িত, তা স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন পুণ্যার্থীদের অনেকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাতালে লেখা ওই স্লোগানের পাশ দিয়ে হেঁটে তিন নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে গিয়েছেন। তিনি মন্দিরে পৌঁছনোর আগে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে কলকাতা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়েছিল যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি চাতালে লেখা স্লোগানের উপড়ে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি চাতালে লেখা স্লোগানের কিছু আগেই দাঁড় করিয়ে দেন।
স্থানীয়দের মতে, চাতালে লেখা ওই স্লোগানের উপরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিলে বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে পড়ত না। কিন্তু তা না করায় ওই সব স্লোগান তাঁর নজরে পড়ে। গাড়ি থেকে নেমে ওই স্লোগান দেখার পরে অমিত শাহ পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যান।
ঘটনা যা-ই হোক, রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যাত্রাপথে লেখা ওই স্লোগানকে আমল দিতে রাজি হননি বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই।