রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যাবেন কি না স্পষ্ট করলেন না। তবে শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানালেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের’ কথা মাথায় রেখেই তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার দিবসের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। সেই অনুষ্ঠানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “সমাবর্তন করতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। নিয়ম না-মেনে সমাবর্তন করা ঠিক নয়। ২৪ তারিখ সমাবর্তন। কিন্তু সমাবর্তনের আগে এক সপ্তাহেরও কম সময় রয়েছে। এত শংসাপত্রে সই করা কী ভাবে সম্ভব?” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আমি দেখছি কী করা যায়।”
২৪ ডিসেম্বর যাদবপুরে সমাবর্তন। আর সেই সমাবর্তনের জন্য ১৭ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এগ্জ়িকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠক হয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে কত জনকে শংসাপত্র দেওয়া হবে, তা এই বৈঠকে ঠিক হয়। নিয়ম অনুযায়ী এই বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হল, তা রাজভবনকে জানানো হয়। এ বার তা জানানো হয়নি বলে জানিয়েছে রাজভবন। অভিযোগ, প্রথা মেনে রাজভবনের কোনও অনুমতিও গ্রহণ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এ বারও সাম্মানিক ডিলিট বা ডিএসসি দেওয়া হবে না। শুধু পড়ুয়াদের ডিগ্রি দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন অধিকর্তা অমিতাভ ঘোষ।