গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সরু, ঘিঞ্জি, যানজট নিত্যসঙ্গী। তার উপর সম্প্রতি রাস্তার উন্নয়নে সারাইয়ের কাজ চলছে। খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের নাভিশ্বাস দশা।
পথে আবর্জনা জমে থাকে। আমার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে, টালিগঞ্জ যাওয়ার রাস্তায় সারাক্ষণ ভ্যাটের আবার জঞ্জাল ছড়িয়ে থাকে। দৃশ্য দূষণের দাঁড়িয়ে এটা পরিবেশ দূষণও বটে। এক এক সময় নিজেরই ভীষণ অস্বস্তি হয়।
জলে আয়রন বেশি। স্নানের জল অনিয়মিত। আমি অন্তত আমার অঞ্চলের জল সরবরাহে খুশি নই। এ দিকটায় কেউ নজর দেবেন?
বর্ষায় খুবই জল জমে। সারা শহরের নিকাশির মতোই এই অঞ্চলের ব্যবস্থাও বেহাল। ফলে, বর্ষাকাল যেন আমাদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক! জল নামতেও সময় লাগে। সব মিলিয়ে অবস্থা খুবই শোচনীয়।
পর্যাপ্ত আলো পুরসভা আমাদের এলাকার জন্য বরাদ্দ করেছে। গোটা এলাকা আলোকিত থাকায় অপরাধের সুযোগও কম। ফলে, এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।
আমি বলব পথপশুদের হয়ে। ওদের খাবার, আশ্রয়ের দায়িত্বও কিন্তু পুরসভার। গরমে ওদেরও জল চাই। রাস্তার ধারে ওদের জন্য যদি জল খাওয়ার একটা ব্যবস্থা থাকে বা পাত্রে জল রাখা থাকে পথের পশুদের কষ্ট কমে। এগুলো কিন্তু বিদেশে হয়। এ দেশে সেটা ওরা পায় না। তাই যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়। ওদের প্রতিষেধক দিয়ে যদি বিষহীন করা তা, তা হলে জনসাধারণও বোধহয় ওদের বন্ধু ভাবতে সাহস পাবে। পাশাপাশি, পথপশুর জন্য সচেতনতা গড়ে তোলাটাও জরুরি। ওরাও যে পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য, জনসাধারণ কবে সেটা বুঝবেন?
(সংকলন: উপালি মুখোপাধ্যায়)