বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ড। ফাইল চিত্র।
বাবুঘাট থেকে বাস, মিনিবাস স্ট্যান্ড সরিয়ে সাঁতরাগাছিতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। এ ব্যাপারে বাস মালিকদের দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। যদিও রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসমালিকদের সংগঠনগুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির মধ্যে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাঁদের ভোগান্তি আরও বাড়াবে। সরকার যেন বাবুঘাটের বাসস্ট্যান্ড সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে, সে আবেদনও জানানো হয়েছে বাসমালিকদের সংগঠনগুলি তরফে।
বাবুঘাটের বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য একাধিক রুটের বাস ছাড়ে। এ ছাড়া অন্য রাজ্যে যাওয়ার দূরপাল্লার বাসও ছাড়়ে এই স্ট্যান্ড থেকে। সোমবার পরিবহণ দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বাসমালিকদের সংগঠনগুলিকে এই বাসস্ট্যান্ডই সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরের সাঁতরাগাছিতে। এ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসমালিকেরা। তাঁদের দাবি, নতুন স্ট্যান্ডে বাস রাখতে অতিরিক্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। জ্বালানির দামের পাশাপাশি অতিরিক্ত ব্যয়ভার চাপবে বাসমালিকদের উপর। বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত সরকারের।
পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকা।
আদালত আগেই বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা প্রথমে হাই কোর্টে হয়। পরে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছয়। আবেদনকারী আদালতকে জানিয়েছিলেন, বাসস্ট্যান্ডের দূষণ, ধোঁয়া এবং রাসায়নিকের প্রভাব পড়ছে ময়দানে। দূষণের কারণে কাছের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতেই বাবুঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে সাঁতরাগাছিতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু এত দিন রাজ্য সরকার এ নিয়ে বিশেষ তৎপর হয়নি। এ বার রীতিমতো সময় বেঁধে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য।
প্রসঙ্গত, সাঁতরাগাছির বাসস্ট্যান্ডটি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরেই। তবে দূরত্ব নিয়ে সমস্যার কারণেই বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা শেষ পর্যন্ত সরানো হয়নি বাবুঘাট থেকে।