বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র সঠিক সময় না বসালে জরিমানা দিতে হবে। ফাইল ছবি।
বাণিজ্যিক যাত্রিবাহী গাড়িতে অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র বসানোর কাজ পর্যালোচনা করতে শুক্রবার কসবার পরিবহণ ভবনে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এ দিনের বৈঠকে পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা যন্ত্র বসানোর বিপুল খরচ নিয়ে আপত্তি তুললেও আগামী মার্চের মধ্যেই তা বসানোর উপরে জোর দেন মন্ত্রী।
এই লক্ষ্যে বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলবাস এবং গাড়ি-সহ বিভিন্ন যাত্রিবাহী বাণিজ্যিক যানের মালিকদের কাছে এসএমএসের মাধ্যমে চূড়ান্ত সময়সীমা জানিয়ে সতর্কবার্তা পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার। যা অমান্য করলে জরিমানার কোপে পড়তে হবে বলে দফতর সূত্রের খবর।
মোবাইলের সিম নির্ভর ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা পাহাড় এবং দুর্গম অঞ্চলে কেমন, এ দিনের বৈঠকে সেই প্রশ্ন তোলেন পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাংশ। পাশাপাশি, যন্ত্র বসানোর পরে সেটির রক্ষণাবেক্ষণের দায় নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার নির্বাচিত ১২টি সংস্থা যন্ত্র বিক্রি করার পরে পরিষেবা প্রদানের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ। বাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্য়াব সংগঠনের প্রতিনিধিদের অভিযোগের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ওই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। যন্ত্র নির্মাণ সংস্থাগুলির কাছে তাদের পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার গাড়িতে এই যন্ত্র বসানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। এ দিন যন্ত্রের দাম কমানোর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আরও বেশি সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। যন্ত্রের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফলে, তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনেই কাজ করতে হচ্ছে।’’ বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব এবং স্কুলগাড়ি সংগঠনের প্রতিনিধিরা ওই যন্ত্র বসানোর সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানালে মন্ত্রী নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করতে বলেন।