—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশ এলাকার অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলির কোনটি কতটা সংবেদনশীল, তা জানার জন্য থানাগুলির কাছে বিভিন্ন তথ্য চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। লালবাজারের তরফে প্রতিটি থানাকে বলা হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই তথ্য জোগাড় করে রিপোর্ট আকারে পাঠাতে হবে। তার ভিত্তিতে বিধানসভা কেন্দ্র অনুযায়ী স্পর্শকাতর এলাকার মানচিত্র তৈরি হবে বলে অনুমান পুলিশের।
বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও মাসখানেক আগে থেকেই নির্বাচন কমিশন পুলিশের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সর্বশেষ দু’টি লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে কোথায় কোথায় গোলমাল হয়েছিল, ক’টি মামলা রুজু হয়েছিল, সেই সব মামলা বর্তমানে কী অবস্থায় আছে— এমন নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল থানাগুলির কাছে। সূত্রের খবর, বুধবার সব থানাকে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, বিধানসভা কেন্দ্র ধরে ধরে দুষ্কৃতীদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা এবং পুরভোটের দিন কোনও মামলা দায়ের হয়ে থাকলে পাঠাতে হবে তার বিস্তারিত তথ্য। এক পুলিশকর্তা জানান, আবগারি আইনে কোনও মামলা রুজু হলে তা-ও জানাতে হবে থানাকে। এর সঙ্গে অস্ত্র আইনে মামলা এবং আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে তার বিরুদ্ধে থানা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল, সেই রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্টে এলাকার কুখ্যাত অপরাধীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানাতে হবে।
লালবাজার জানিয়েছে, প্রতি বারই ভোটের মুখে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। যার মোট অঙ্ক কোটি ছাড়িয়ে যায়। গত কয়েকটি নির্বাচনে কত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মামলা রুজু হয়েছিল কি না, সে সবও জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, থানাগুলি থেকে ওই রিপোর্ট জমা পড়লেই তা কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ জারি করবে তারা। সেই সূত্রেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির কোনটি কতটা সংবেদনশীল, তা ঠিক হবে।
এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বুথ, স্ট্রং রুম থেকে শুরু করে রিটার্নিং কেন্দ্র ও ভোটযন্ত্র বিলি কেন্দ্রে কত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য পুলিশের বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল, লালবাজারের মাধ্যমে তার হিসাব জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের বছর (২০২১) থেকে শুরু করে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কত জনের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল, সে সবও জানাতে বলা হয়েছিল পুলিশকে।