কন্টেনমেন্ট জোনে ফের লকডাউনের কড়া দাওয়াই রাজ্য সরকারের। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই কলকাতায় করোনা সংক্রমণে ক্রমাগত বাড়বাড়ন্ত ঘটছিল। তা রুখতে ফের কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল রাজ্য। মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সে সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিকে কড়া লকডাউন চলবে।
কলকাতায় বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা উদ্বেগ তৈরি করছিল। তা রুখতে ফের কন্টেনমেন্ট জোনে চলবে লকডাউন। দেখে নিন, আগামী ৯ জুলাই থেকে শহরের কোন কোন এলাকা থাকবে লকডাউনেই ঘেরাটোপে।
কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় এই এলাকাগুলিতে গত দু’সপ্তাহে কোভিড রোগীর সংখ্যাটা চিন্তা বাড়িয়েছে। ৮ নম্বর বরোর এই এলাকায় মোট ৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
৩ নম্বর বরোর এই এলাকার কন্টেনমেন্ট জোনের কোভিড রোগীদের সংখ্যাটাও গত দু’সপ্তাহে পার করেছে ৫০-এ কোঠা। এখানে ওই সময়ের মধ্যে মোট ৫২ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।
রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ, কন্টেমেন্ট জোনগুলিতে বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। চলাচল করবে না গাড়িও। তবে জরুরি পরিষেবাগুলিকে এর আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ফুলবাগানের সঙ্গে মিলিয়ে এই এলাকায় গত ১৪ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকেছে ৪৪-এ। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে কন্টেনমেন্ট এলাকায় প্রয়োজনে রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনস্থ এই এলাকায় গত দু’সপ্তাহে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ৪৩। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কন্টেনমেন্টগুলিতে লকডাউন চলাকালীন বহুতলগুলিতে ঢোকা-বেরনোর পথও আটকে দেওয়া হতে পারে। তবে বহুতলের বাসিন্দারা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, তার জন্য জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহের যাতে ব্যাহত না হয়, তা দেখবে প্রশাসন।
কাঁকুড়গাছির এই এলাকাতেও কোভিড রোগীদের সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় থাকা এই এলাকার কন্টেমেন্ট জোনেও বিকেল ৫টা পর চলবে লকডাউন।
কন্টেমেন্ট জোনে বহু এলাকায় ইতিমধ্যেই সিল করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বহুতল।
কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই এলাকাতেও থাকবে লকডাউনের কড়া নজরদারি।
পুরসভার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের রয়েছে কন্টেনমেন্টে জোনের মধ্যে। ইতিমধ্যে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২২ হাজার। ইতিমধ্যে করোনার জেরে ৮৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন কন্টেনমেন্ট জোনেও বজায় থাকবে কড়া বিধিনিষেধ।
৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে গত দু’সপ্তাহের কোভিড রোগীর মোট সংখ্যা ২৯। এই এলাকার কন্টেনমেন্ট জোনেও নিয়ন্ত্রিত হবে বাসিন্দাদের যাতায়াত।
নবান্নের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কন্টেনমেন্ট জোনের সঙ্গে এ বার বাফার জোনকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি আরও বেড়েছে।
কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতায় থাকা গোটা এলাকাতেও থাকবে লকডাউনের বিধিনিষেধ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।