ফস্কা গেরো: বৌবাজারের কাছে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির সারি। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ
ই-পাস চালু হওয়ার পরে লকডাউনের শহরে রাস্তায় বেরোনো গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অপ্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে বেরোলেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ই-পাসের ব্যবহার ঠিক মতো হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর রাখতে আগেই লালবাজারের তরফে আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন কমানো। এ বার জরুরি প্রয়োজনে শেষ মুহূর্তে পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হল লালবাজার। সোমবার সব থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ড-সহ বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো-কনফারেন্সে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশ দিয়েছেন, ওই পাস দিতে পারবেন শুধু থানার ওসি-রা। তবে তাতে ডিভিশনাল ডিসি-র সিলমোহর থাকতে হবে। গত এক সপ্তাহে লকডাউন অমান্য করে রাস্তায় বেরোনোর জন্য হাজারেরও বেশি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তা যাতে বজায় থাকে এবং সকলে যাতে কঠোর ভাবে লকডাউন মানেন, তা দেখার জন্যও এ দিন বলেছেন কমিশনার।
করোনা-সংক্রমণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে গত কয়েক দিন ধরে একাধিক থানা গান এবং কবিতা তৈরি করে প্রচার করেছে। এ দিন কমিশনার সেই ব্যাপারে কিছুটা রাশ টেনেছেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘এ বার থেকে কোনও থানাকে করোনাভাইরাস নিয়ে নতুন কিছু প্রচার করতে হলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (২)-কে জানিয়ে করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন সিপি। একই সঙ্গে তিনি লালবাজারকে এড়িয়ে কিছু না করার জন্যও বাহিনীকে বলেছেন।’’
লকডাউন চলাকালীন যে ভাবে পুলিশকর্মীরা কাজ করছেন এবং গরিবদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, এ দিন তার প্রশংসা করেছেন সিপি। পাশাপাশি বাহিনীর কারও মধ্যে যাতে সংক্রমণ না-ছড়ায়, তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতেও পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর জন্য প্রয়োজন মতো মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে লালবাজারের তরফে।
পুলিশের নিচুতলার অভিযোগ ছিল, সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য তাঁদের মাস্ক বা স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের নিজেদেরই তা জোগাড় করতে হচ্ছে। বাহিনীর একাংশের অনুমান, ডিভিশনাল ডিসিদের মাধ্যমে মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হলে নিচুতলার কর্মীরা উপকৃত হবেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)