নাকা চেকিংয়ে গাড়িচালক থেকে শুরু করে আরোহীদের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে অনেকেই অপ্রয়োজনে গাড়ি, বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। লকডাউন চলাকালীন জরুরি পরিষেবা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ছাড় রয়েছে। তা সত্ত্বেও অযথা ভিড় হচ্ছে বাজার-দোকানে। গাড়ি নিয়ে ঘোরাঘুরি চলছে। লকডাউনের যে উদ্দেশ্য, তা কোথাও কোথাও অমান্য করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা ফের এক বার শহরবাসীর উদ্দেশে নিয়ম মেনে চলার আর্জি জানালেন। সেই সঙ্গে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিলেন, নিয়মভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানও চলবে।
শনিবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে নাকা চেকিং চলছে। গাড়িচালক থেকে শুরু করে আরোহীদের পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। অনেক সময়েই জরুরি পরিষেবার ভুয়ো স্টিকার লাগিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে। তাঁদের চিহ্নিত করতেই কোমর বেঁধে নেমেছে কলকাতা পুলিশে। যাঁরা পরিচয়পত্র দেখাতে পারছেন না অথবা কোন উদ্দেশে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে তাঁরা বেরচ্ছেন, সে বিষয়ে সঠিক নথিপত্র দেখাতে পারছেন না, তা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
লালবাজারের তরফে রাস্তায় কর্মব্যরত পুলিশকর্মীদের বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় নিময় ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সন্তোষ পান্ডে বলেন, “মানুষ সচেতন হচ্ছেন। আমাদের অভিযানও চলছে। আজ, অন্য দিনের তুলনায় রাস্তায় গাড়ি কম বেরিয়েছে।”
আরও পড়ুন: এক লাফে ৬০১ বেড়ে দেশে করোনা আক্রান্ত ২৯০২, মৃত্যু বেড়ে ৬৮
সঠিক কারণ দেখাতে না পারলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে , লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর 'টোটাল সেফটি রেসট্রিকশন' অভিযানে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতার বিভিন্ন থানা এলাকা মিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৭০ জন। বহু গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শুধু গাড়ি নিয়ে বার হওয়ার কারণেই গ্রেফতার হননি তাঁরা। আরও বিভিন্ন কারণে লকডাউনের সময় বাইরে বার হওয়ার জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে।
-নিজস্ব চিত্র।