ছবি প্রতীকী
যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গবেষকদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চাইল উচ্চশিক্ষা দফতর। এ কথা জানার পরেই গত সোমবার থেকে ক্যাম্পাসে চলা অবস্থান শুক্রবার তুলে নিয়েছে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ। পাশাপাশি, ক্যাম্পাস খোলার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসঘর ও ল্যাবরেটরিগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, এ দিন আধিকারিকদের নিয়ে তা ঘুরে দেখেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, পুজোর পরে করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে। পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের মধ্যে থেকেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি বার বার উঠছে। প্রেসিডেন্সিতে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা করে ধাপে ধাপে ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল ছাত্র সংসদ। এ দিন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রতিষেধকের ব্যাপারে আশ্বাস পেয়ে অবস্থান তোলা হয়।
এ দিন উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি পাওয়ার পরে যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু পড়ুয়া ও গবেষকদের প্রতিষেধক দেওয়ার জন্য একটি তালিকা তৈরির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সম্প্রতি ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের প্রস্তাব অনুসারে কর্মসমিতির বৈঠকে ক্যাম্পাস খোলার জন্য প্রস্তুত থাকার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও স্কুলগুলির অধিকর্তাদের বলা হয়েছে, সমস্ত ক্লাসঘর ও ল্যাবরেটরির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। যাতে ক্যাম্পাস খুলেই পঠনপাঠন শুরু করা যায়।
কেন্দ্রীয় এবং বিভাগীয় গ্রন্থাগার থেকে পড়ুয়াদের বই নেওয়া ও জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে এ দিন। এর পাশাপাশি প্রশাসনিক দফতরগুলি যাতে কোভিড-বিধি মেনে আরও বেশি সময় ধরে খোলা রাখা হয়, সেই বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছেন রেজিস্ট্রার। ক্যাম্পাসে করোনা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ডিন অব স্টুডেন্টস এবং এনএসএস-কে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।
রেজিস্ট্রার এ দিন জানিয়েছেন, ক্লাসঘর ও ল্যাবরেটরিগুলি দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ। সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, এ দিন তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। ক্লাস চালুর জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।