আরজি করে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকেরা। — ফাইল চিত্র।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভে শামিল হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কর্মবিরতি চালাচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ। সেই অচলাবস্থা কাটাতে এ বার আরজি করে বৈঠকে স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা। উপস্থিত আন্দোলনকারী পড়ুয়ারাও।
শনিবার আরজি করে পৌঁছন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা। সেই দলে রয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক। এ ছাড়াও আরও অনেকেই রয়েছেন। জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষকর্তারা।
উল্লেখ্য, আরজি করের প্রশাসনিক মাথাদের সরানোর দাবি তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবি মানা না হলে কাজে ফিরবেন না, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। গত বুধবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। বৈঠক শেষে যদিও তাঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের দাবি নিয়ে গড়িমসি করছে স্বাস্থ্য ভবন। এমনকি, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার কথাও জানান আন্দোলনকারীরা।
বুধবার রাতেই দেখা যায়, স্বাস্থ্য ভবন আন্দোলনকারীদের প্রায় সব দাবিই মেনে নেয়। আরজি করের অধ্যক্ষ, সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এবং চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবিও মেনে নিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন। তবে তার পরেও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোনও পরিকল্পনার কথা জানাননি আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সেই জটিলতা কাটাতেই আরজি করে পৌঁছলেন স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকেরা।