আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলি। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
অবশেষে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। রাজ্য সংখ্যালঘু দফতরের তরফে উপচার্য মহম্মদ আলিকে চিঠি লিখে ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে উপাচার্য নিগ্রহের ঘটনার একটি ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। তার তিন দিন পর ঘটনার রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার।
কোন তারিখের মধ্যে উপচার্যকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে চিঠিতে তার কোনও উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন রাজ্য সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত দফতরের এক আধিকারিক।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে পাঁচ পড়ুয়ার পিএইচডি-তে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। তৃণমূলের ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডল (যদিও তৃণমূলের দাবি, ওই ছাত্রের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই) জনা পনেরো সঙ্গী নিয়ে সে দিন বোর্ড রুমের বাইরে উপাচার্য মহম্মদ আলিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময় গিয়াউদ্দিন উপাচার্যকে বলেন, ‘‘ওই গালে দুটো চড়িয়ে দেব। আমার চড়ে প্রচুর লাগে। যে ক’টা তোর ছেলে আছে জিজ্ঞেস করে নিবি।’’ এই তাণ্ডব-ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
উপাচার্য নিগ্রহের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ছাত্রনেতা এবং তাঁর অনুগামীদের পাল্টা অভিযোগ, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত উপাচার্য। তিনি পাঁচ পড়ুয়াকে অনৈতিক ভাবে পিএইচডি-তে সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন বটে। কিন্তু প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন অনেক আগেই। এ নিয়েই তাঁরা ‘প্রতিবাদ’ জানাতে উপাচার্যে ঘরে গিয়েছিলেন।