বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বাইকেও ছাতা মাথায়। —ফাইল চিত্র
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি। শহর কলকাতার আকাশ কালো করে মেঘ। সেই সঙ্গে শুরু হল হালকা বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে চলছে বজ্রপাতের তীব্র আওয়াজও। তীব্র অস্বস্তিকর গরম থেকে সাময়িক মুক্তি। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়।
মঙ্গলবার সকালের দিকেও অবশ্য ছিল তীব্র গরম। সঙ্গে ছিল ঘাম আর অস্বস্তি। তবে বেলা বাড়তেই মেঘের আনাগোনা শুরু হয়। দুপুর ১টা বাজার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। যদিও তা খুবই কম। তবে মেঘলা আবহাওয়া এবং হালকা বৃষ্টির জেরে অস্বস্তিকর গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
বৃষ্টির সঙ্গে এ দিন ছিল হালকা দমকা হাওয়া। সেই হাওয়ার জেরে শহল কলকাতার একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে যায়। পার্ক স্ট্রিট ও ক্যামাক স্ট্রিটের ক্রসিং, এজেসি বোস রোড ও ডি এল খান রোডের ক্রসিং, বেনিয়াপুকুরে পদ্মপুকুর মোড়ের কাছে ৫৫ ডক্টর সুন্দরীমোহন অ্যাভিনিউ, স্ট্র্যান্ড রোডে বাবুঘাট ও প্রিন্সেপ ঘাটের মাঝে, শরৎ বোস রোড ও বসন্ত রায় রোডের ক্রসিংয়ে গাছ পড়ে যান চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে সেগুলি সরিয়ে নিয়েছেন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বর্ষার মেঘ থেকেই এই বৃষ্টি। আপাতত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির এই গানগুলি আপনি জানেন কি?
আরও পড়ুন: নরবলি? অন্ধ্রে মন্দিরের ভিতর থেকে দুই মহিলা-সহ তিন জনের নলি কাটা দেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন: সহজ পাটিগণিত, কুমারস্বামী সরকার সংখ্যালঘু, সুপ্রিম কোর্টে বললেন বিদ্রোহী বিধায়করা
আষাঢ় মাসেও শুখা আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগে আবহবিদরা। ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই মরশুমে গোটা রাজ্যে এই ঘাটতির পরিমাণ ৪৯ শতাংশ। অন্য দিকে ৭২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি শহর কলকাতায়। বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির ঘাটতির জেরে চাষবাসে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।