পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। —ফাইল চিত্র।
নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তৈরি করছে নিজস্ব স্টুডিয়ো। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘স্টুডিয়ো তৈরি হবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সল্টলেক অফিসেই। শিক্ষামূলক নানা আলোচনা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় শুটিংও হবে সেখানেই। কোনও পড়ুয়া কোনও ক্লাস লাইভ দেখতে না পেলে পরে ইউটিউবে রেকর্ডিং-ও দেখে নিতে পারবে। ফেসবুক পেজেও ভিডিয়ো আপলোড করা হবে।’’
করোনার সময়ে যখন মাসের পর মাস স্কুল বন্ধ ছিল, তখন এ রকমই কিছু ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল শিক্ষা দফতর। সেই সব ক্লাস হত বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলিতে। সংসদ কর্তাদের মতে, ওই সমস্ত ক্লাসে উপকৃত হয়েছিল বহু পড়ুয়া। তখন নিজেদের স্টুডিয়ো ছিল না। থাকলে হয়তো আরও বেশি ক্লাস নেওয়া যেত। তাই এ বার স্টুডিয়োর সঙ্গে এডিটিং ব্যবস্থাও এক ছাদের তলায় থাকবে।
এখন একাদশ শ্রেণিতেই পড়ুয়াদের ট্যাব দিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষকদের মতে, ট্যাবে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে নিলেই সংসদের ইউটিউব, ফেসবুক উভয়ই দেখতে পাবে পড়ুয়ারা। কৃত্রিম মেধা ও ডেটা সায়েন্সের মতো নতুন বিষয়ও চালু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। এই দু’টি বিষয়ে বেশি সংখ্যক ক্লাস হলে তাতে পড়ুয়ারা আরও উপকৃত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকেরা।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমির শিক্ষিকা সুমনা সেনগুপ্তর মতে, ‘‘আমরাও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে পড়াতে আগ্রহী। তা হলে আরও বেশি পড়ুয়ার কাছে পৌঁছতে পারব।’’ শিক্ষকদের মতে, সংসদকে দেখতে হবে যেন তাদের ফেসবুক পেজের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে না যায়। তা হলে বিভ্রান্তি ছড়াবে।