বিপত্তি: জমা জলের মধ্যে জুতো খুলে গিয়েছে এক পড়ুয়ার। বুধবার, আমহার্স্ট স্ট্রিটে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত একটানা ভারী বর্ষণের জেরে ডুবল শহরের একাধিক এলাকা। উত্তরের কাশীপুর, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, এম জি রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে দক্ষিণের ঢাকুরিয়া, খিদিরপুর ও বেহালার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সেই জল নামতে বুধবার বেলা গড়িয়ে যায়।
এ দিন দুপুরে দিল্লি থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বৌবাজার, এ জে সি বসু রোড আর বেহালায় এখনও জল জমে রয়েছে। অন্য সব জায়গায় জল বার করা হয়েছে। সমস্ত পাম্পিং স্টেশন কাজ করছে। ঠনঠনিয়ায় তেমন জল জমেনি। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, তাই সতর্ক করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের অবস্থা খুব খারাপ। ডিভিসি আবার জল ছাড়লে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থাও খারাপ হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরে মেয়র পুরভবনের কন্ট্রোল রুমে যান ও পুর আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছিলেন পুর কমিশনারও।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টির পরিমাণ বালিগঞ্জে ১০১ মিলিমিটার, কলেজ স্ট্রিটে ৭২ মিলিমিটার, পামারবাজারে ৫৭ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ৪৯ মিলিমিটার, ধাপায় ৫১ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ৫০ মিলিমিটার ও উল্টোডাঙায় ৪৭ মিলিমিটার। প্রবল বৃষ্টিতে এ দিন সকালে শহরের কিছু রাস্তা জলমগ্ন থাকায় প্রবল যানজট হয়। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এম জি রোড, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকা দীর্ঘক্ষণ জলমগ্ন ছিল। বিভিন্ন গলিতে হাঁটুজল দাঁড়ানোয় টানা রিকশায় বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে হয় অভিভাবকদের। বৌবাজার এলাকার বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন গলি ও দক্ষিণের মোমিনপুর, খিদিরপুর এলাকার কিছু অংশ ছিল জলের তলায়। বালিগঞ্জে রেকর্ড বৃষ্টির জেরে কিছু ছোট রাস্তাতেও জল দাঁড়িয়ে যায়। একই হাল ঢাকুরিয়াতেও। সেই জল নামতে বেলা গড়িয়ে যায়। বেহালার কিছু ওয়ার্ডে (বিশেষত ১২৩, ১২৭, ১২৮) কেইআইআইপি নিকাশি পাইপের কাজ করায় সেই সব এলাকা জলমগ্ন হয়। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহের দাবি, ‘‘রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। তবে সন্ধ্যার আগে সর্বত্র জল নেমে গিয়েছে। বেহালায় কেইআইআইপি-র কাজের জন্য জল জমার সমস্যা রয়েছে।’’