ভিআইপি রোডে জোড়ামন্দিরের কাছে জলমগ্ন রাস্তায় পথচারীরা। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
এক ঘণ্টার মুষলধারে বৃষ্টি। আর তার জেরেই বুধবার কয়েক ঘণ্টা জলমগ্ন হয়ে রইল শহরের বিস্তীর্ণ অংশ। এ দিন বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত রেকর্ড বৃষ্টির জেরে জলে ডুবে যায় শহরের বেশ কিছু এলাকা।
কলকাতা পুরসভা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এ দিন বিকেল ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত যোধপুর পার্ক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিলিমিটার। মোমিনপুর এবং কালীঘাটে ওই একই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০ মিলিমিটার এবং ৯৫ মিলিমিটার। বালিগঞ্জে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৯৬ মিলিমিটার। তপসিয়া, মানিকতলা ও পামারবাজারে দু’ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে ৮৩, ৭৭ এবং ৭২ মিলিমিটার।
প্রবল বৃষ্টির জেরে এ দিন জলমগ্ন হয়ে পড়ে উত্তরের আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, সুকিয়া স্ট্রিট, নারকেলডাঙা মেন রোড, ঠনঠনিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণের খিদিরপুর, যোধপুর পার্ক, বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, হালতু ও বেহালার কিছু অংশ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃষ্টিতে এসএসকেএম হাসপাতালের ভিতরে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির মুখে পড়েন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। খিদিরপুরের সত্য ডাক্তার রোড, কার্ল মার্ক্স সরণি, মোমিনপুরের
দুর্ভোগ: জমা জল ঠেলে গন্তব্যের পথে এক সাইকেল-আরোহী। বুধবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
মহম্মদ আলি রোড, ইব্রাহিম রোড, মোমিনপুর রোড, ডেন্ট মিশন রোড, একবালপুর লেন, রজব আলি লেন, মনসাতলা লেন, ডক্টর সুধীর বসু রোডে দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে। জল দাঁড়িয়ে যায় রাজভবন চত্বর, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট, এ জে সি বসু রোড, শেক্সপিয়র সরণি, শরৎ বসু রোড, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, পার্ক সার্কাস, নিউ আলিপুর, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স, সাহাপুর রোড, মহাত্মা গাঁধী রোড এবং পাতিপুকুর আন্ডারপাসেও। এর ফলে গাড়ির গতি রুদ্ধ হয়ে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। সন্ধ্যা থেকে আস্তে আস্তে জমা জল নামতে শুরু করে।
এ দিনের বৃষ্টিতে জল জমা প্রসঙ্গে পুরসভার নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ বলেন, ‘‘এক ঘণ্টায় শহরের কিছু জায়গায় রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। এক-এক জায়গায় বৃষ্টির চরিত্র এক-এক রকম। তবে জল জমে থাকলেও তা দ্রুত নেমে গিয়েছে।’’