রত্না শূর এবং তারক সিংহ। — ফাইল চিত্র।
হরিদেবপুরের ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুরসভার অন্দরেই শুরু হয়েছে তীব্র চাপান-উতোর।
সোমবার স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূর অভিযোগ করেছেন, ‘‘পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার জানান, ওয়ার্ক অর্ডার নেই।’’ রত্নার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ পাল্টা বলেন, ‘‘উনি (কাউন্সিলর) জানেন না। ঠিক কথা বলছেন না। ওখানে কেইআইআইপি-র কাজ হচ্ছে। পাম্প লাগানোর কথা ওদেরই। নিকাশি দফতর আর কেইআইআইপি আলাদা, এ রকম কোনও ব্যাপার নয়। যারা পাম্প চাইছে, তাদেরই দেওয়া হচ্ছে।’’ মেয়র পারিষদ (নিকাশি) আরও বলেন, ‘‘ঠিকাদারের ওয়ার্ক অর্ডার না থাকার জন্য পুরসভার জরুরি কাজ কোনও দিন আটকে থাকে না। রত্না শূর যদি বলতে পারেন, বিভাগে চিঠি লিখে জানানো সত্ত্বেও সেই চিঠির কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তা হলে বলুন। জরুরি ভিত্তিতে পাম্প চাইলে কেউ পাননি, এটা হতে পারে না। ওখানে পাম্প চালানোর কথা কেইআইআইপি-র।’’ তারকের বক্তব্য, ঠিকাদার কী বলেছেন, তার দায়িত্ব পুরসভা নেবে না। তাঁর প্রশ্ন, তা হলে পরে পাম্প চালানো হল কী ভাবে?
ঘটনার পরে পুর প্রতিনিধিদের মধ্যে চাপান-উতোর চলতে থাকলেও হরিদেবপুরের ওই এলাকার বাসিন্দারা একই সঙ্গে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এলাকায় দীর্ঘক্ষণ জল জমে থাকে। পুরসভা জমা জল সরাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে নিশীথের অকালমৃত্যু রোখা যেত। আমরা অতীতেও জমা জল সরাতে বার বার বলেছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’’ বৃষ্টি হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জমা জল দ্রুত সরানোর জন্য শহরের নিচু এলাকাগুলিতে বাড়তি পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। এ দিন কলকাতা পুরভবনে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।