সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের মণ্ডপ তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর ভিড় নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকেরা। দূরত্ববিধি না মানলে করোনা সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তারা। দর্শকদের কাছে তাঁদের আবেদন, সোশ্যাল সাইটে প্রতিমা ও মণ্ডপ দর্শন করুন। নতুন স্লোগানও তৈরি করেছেন তাঁরা, ‘হেঁটে নয় নেটে দেখুন’।
প্রতি বছরই মণ্ডপ এবং প্রতিমায় চমক থাকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। করোনার কারণে কিন্তু এ বার পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। মণ্ডপে ভিড় বাড়লে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। এ বছর মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বদ্রীনাথ মন্দিরের আদলে। সাবেকিয়ানা এবং থিমের মেলবন্ধন থাকছে। বুধবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, “আমরা মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করছি। দর্শকদের কাছে আবেদন, আমাদের সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দুর্গোৎসব সমিতির ফেসবুক পেজে লক্ষ্য রাখুন। প্রতি দিন সেখানেই প্রতিমা দর্শন থেকে মণ্ডপ, সব কিছুই দেখা যাবে। শুধুমাত্র কমিটির সদস্যরা এবং স্থানীয়দের পরিচয়পত্র দেখে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।”
প্রতি বছর কয়েক লক্ষ জনসমাগম হয় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোতে। থাকে থিমের চমকও। ২০১৮ সালে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রূপোর রথ তৈরি হয়েছিল। তার আগে দুর্গাপ্রতিমাকে সোনার শাড়ি পরানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের চমক ছিল সোনার দুর্গা। ‘খাঁটি সোনা’ দিয়ে ১২ ফুটের ওই দুর্গা তৈরি করতে লেগেছিল আনুমানিক ১৭ কোটি টাকা! এ বার বদ্রীনাথের মন্দির।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ, উন্নতি হয়েছে শারীরিক অবস্থার
আরও পড়ুন: আরও রাত পর্যন্ত মেট্রো পুজোর আগেই