খুলে গেল বিদ্যাপতি সেতু। ফাইল চিত্র।
নির্ধারিত সময়ের সাত ঘণ্টা আগেই সোমবার রাত ১১টায় খুলে দেওয়া হল বিদ্যাপতি সেতু (শিয়ালদহ উড়ালপুল)।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ নির্মাণের জন্য গত শুক্রবার রাত থেকে বিদ্যাপতি সেতুর উত্তর দিকের অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ওই কাজের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্ত তার অনেক আগেই সোমবার রাতেই ওই সেতু স্বাভাবিক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বৌবাজারের দিকে বিদ্যাপতি সেতুর নীচে নির্বিঘ্নে সুড়ঙ্গ খননের কাজ মিটে যাওয়াতেই নির্ধারিত সময়ের আগে ওই সেতু খুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে খবর, মাটির প্রায় ২০ মিটার গভীরে কংক্রিটের বৃত্তাকার বলয় (খণ্ড) জুড়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। সেতুর নীচে ১৫ থেকে ২৫ নম্বর বলয় রয়েছে। এর মধ্যে রবিবার রাত পর্যন্ত ২০ নম্বর বলয় বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে আরও ৫টি বলয় বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে সুড়ঙ্গের বাইরের দেওয়াল সংলগ্ন মাটির ধস বা বসে যাওয়া ঠেকাতে গ্রাউটিংয়ের কাজ বাকি ছিল। ওই প্রক্রিয়ায় তরল কংক্রিট এবং বিভিন্ন রাসায়নিক তীব্র চাপে পাইপের সাহায্যে মাটির মধ্যে প্রবেশ করানো হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ওই কংক্রিট জমে গিয়ে ধস নামা ঠেকায়। এ দিন সন্ধ্যার পরে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। মেট্রো আধিকারিকদের দাবি, গত কয়েক দিনে খুবই সন্তর্পণে সুড়ঙ্গ খননের কাজ করা হয়েছে।
সেতুর কোথাও ন্যূনতম ফাটল বা বিচ্যুতি দেখা দিচ্ছে কি না, তা নির্ণয় করার জন্য একাধিক যন্ত্রের মাধ্যমে দিনরাত নজরদারি চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত মাটির সরণ খুবই কম হয়েছে। তা সহনমাত্রার থেকেও কম থাকায় দ্রুত কাজ সম্পূর্ণ করা গিয়েছে।’’
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার এ কে নন্দী বলেন, ‘‘সব কাজ নির্বিঘ্নে মিটে যাওয়াতেই আগে উড়ালপুল খুলে দেওয়া সম্ভব হল।’’