প্রতীকী চিত্র।
ফেসবুকে আলাপ, তা থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উপহার পাঠানোর প্রলোভন। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খোয়ালেন এক মহিলা।
এই ঘটনায় দিল্লি থেকে এক নাইজিরীয়কে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার থানা। ধৃতের নাম চেইমিলি ডেভিড ওকেকে। এর পাশাপাশি প্রতারণা-সহ অন্য একটি অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা এবং নাইজিরিয়ার আরই দুই নাগরিককে। তাদের নাম মামেলি লাংখাম এবং মাইরিকিমাং ওয়াইজুনামাই।
গত ২৬ অগস্ট পশ্চিম দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় চেইমিলিকে। স্থানীয় আদালতে তাকে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে বিধাননগর নিয়ে আসা হয়েছে। ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে দু’টি কার্ড সোয়াইপ যন্ত্র, ডেবিট কার্ড ও মোবাইল।
পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণীর সঙ্গে চেইমিলির আলাপ ফেসবুকে। ওই যুবক নিজেকে একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রোজেক্ট ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিল। সম্প্রতি চেইমিলি অভিযোগকারিণীকে উপহার দেওয়ার কথা জানায়। যদিও সেই উপহারটি কী ছিল, তা জানা যায়নি। উপহার নিতে রাজি হয়ে যান মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, এর পরে ভুয়ো পরিচয়ে ফোন করে অভিযোগকারিণীকে বলা হয়, উপহার নিতে হলে তাঁকে শুল্ক এবং অন্য কর বাবদ একটা নির্দিষ্ট টাকা দিতে হবে। আরও বলা হয়, উপহারের সঙ্গে নির্দিষ্ট অর্থমূল্যের পাউন্ড রয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, পাউন্ড এবং উপহারের মূল্য সব মিলিয়ে কোটি টাকারও বেশি।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু দিন ধরেই নাইজিরিয়ার বাসিন্দা ওই তিন জনের খোঁজ চলছিল। ধৃতদের সঙ্গে কোনও চক্রের যোগ আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, চেইমিলির ভিসাও পরীক্ষা করা হচ্ছে।