প্রতীকী ছবি।
নয়া জরিমানা-নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে পরিষেবা বন্ধ রেখে বৃহস্পতিবার পরিবহণ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এআইটিইউসি-র অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠন। কাজের দিনে এই কর্মসূচির জেরে সকালের দিকে অ্যাপ-ক্যাব পেতে যাত্রীদের অনেককেই নাকাল হতে হল। তাঁদের বড় অংশের অভিযোগ, রাস্তায় গাড়ি কম ছিলই। পাশাপাশি, গন্তব্যে যেতে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়েছে। কসবা থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত যেতে অন্য দিন যেখানে ১৬০ টাকা পড়ে, সেখানে এ দিন দিতে হয়েছে ৩৩৫ টাকা। একাধিক ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন গুণ পর্যন্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, মোটা টাকা জরিমানার আশঙ্কায় এমনিতেই শহরের বিভিন্ন রুটে বাস প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। বাইপাস সংলগ্ন একাধিক রুটে বাস নেই বললেই চলে। ফলে হাসপাতালে কাউকে দেখতে যাওয়াই হোক বা অন্য কাজে বেরোনো, যাত্রীদের নিরুপায় হয়ে ক্যাব ধরতে হচ্ছে। যার জন্য সকাল-সন্ধ্যায় ক্যাবের চাহিদা থাকছে খুব বেশি।
এ দিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জড়ো হলে পুলিশ তাঁদের জমায়েতে বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত পরিবহণ ভবন অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে সংগঠনের সদস্যেরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে সভা করেন। পাঁচ জনের প্রতিনিধিদল পরিবহণ সচিবকে স্মারকলিপিও দেয়। সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘নয়া নির্দেশিকা চালকদের চরম সঙ্কটে ফেলেছে। জরিমানা নিয়ে সরকার সদর্থক পদক্ষেপ না-করলে ২২ ফেব্রুয়ারি ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটে যাব।’’