আনাজের দাম কিছুটা কমলেও হাত পুড়ছে ক্রেতার

গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা ছুঁয়েছিল। রবিবার শহরে তা বিকিয়েছে ৮০-৯০ টাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৫০
Share:

কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম।—ছবি পিটিআই।

পেঁয়াজের আগুন দাম অল্প হলেও কমেছে। খানিকটা কমেছে অন্য আনাজের দামও। তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন অনেক ক্রেতাই। বাজার করতে এসে তাই অনেক হিসেব করে কেনাকাটা করতে হচ্ছে তাঁদের।

Advertisement

গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা ছুঁয়েছিল। রবিবার শহরে তা বিকিয়েছে ৮০-৯০ টাকায়। মানিকতলা বাজারে মাংস কেনার পরে পেঁয়াজ কিনতে এসে খানিকটা থমকেই দাঁড়ালেন মানস মুখোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী মানসবাবুর কথায়, ‘‘মাংস রান্না করতে পেঁয়াজ লাগবেই। কিন্তু যা দাম, তাতে যেটুকু না হলে নয় সেটুকু কিনে বাড়ি ফিরছি।’’

তবে শীতের শুরুতে অন্য আনাজের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে। গত সপ্তাহে যেখানে একটি ফুলকপির দাম ছিল গড়ে ৪০ টাকা, সেই ফুলকপি এ দিন বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০-৩০ টাকায়। জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর দর কেজি প্রতি যথাক্রমে ২০ এবং ২২ টাকা। টম্যাটোর দাম প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৪০-৫০ টাকায়।

Advertisement

শিয়ালদহ কোলে মার্কেটের বাজার কমিটি তথা রাজ্য সরকারের দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য কমল দে বলেন, ‘‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নদিয়া-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে শীতের আনাজ ঢুকবে। আশা করছি, তখন দাম আরও কমবে।’’ কমলবাবুর কথায়, ‘‘দুর্গাপুজোর আগে ও কালীপুজোর সময়ে বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তার সঙ্গে আবার বুলবুলের বিপর্যয়। ফলে প্রচুর আনাজ মাঠেই নষ্ট হয়েছে।’’

তবে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরো বাজারে আনাজের দামের ফারাক দেখে বিস্মিত টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্যেরা। এ দিন কোলে মার্কেটের তুলনায় খুচরো বাজারে আনাজের দাম ছিল প্রায় দ্বিগুণ। এ প্রসঙ্গে কমলবাবু বলেন, ‘‘খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে আনাজ কিনতে হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বেশি দামে আনাজ বিক্রির অভিযোগে কোনও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা টাস্ক ফোর্সের নেই। নজরদারি চালানো ছাড়া আমরা আর কিছু করতে পারি না।’’

আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সে সদস্য সংখ্যা চার। ওই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে থাকেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিকেরা। কমলবাবুর অভিযোগ, ‘‘ইবি-র অধীনে ১৫-২০ জন পুলিশকর্মী রয়েছেন। অথচ গোটা শহরে রয়েছে সাড়ে তিনশোর উপরে বাজার। এত কম লোকবল নিয়ে সব বাজারে নজরদারি করা সম্ভব নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement