Covid Vaccination

COVID Vaccine: প্রতিষেধক নেওয়ার আগেই ফোনে চলে এল সরকারি শংসাপত্র

প্রতিষেধক নেওয়ার আগেই শংসাপত্র পেয়ে হতবাক ওই ব্যক্তি কী করবেন, বুঝতে না-পেরে ছুটে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১ ০৬:১২
Share:

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টাল থেকে পাওয়া সেই শংসাপত্র।

প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার দশ মিনিটের মধ্যেই প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে মেসেজ পেলেন এক প্রৌঢ়। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টাল থেকে ওই ব্যক্তির মোবাইলে শংসাপত্রও পাঠিয়ে দেওয়া হল। প্রতিষেধক নেওয়ার আগেই শংসাপত্র পেয়ে হতবাক ওই ব্যক্তি কী করবেন, বুঝতে না-পেরে ছুটে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কারণ, সেখানেই তাঁর নাম প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, দিনভর ঘোরাঘুরি করেও তা জানতে পারেননি তিনি। গোটা বিষয়টিতে জালিয়াতির গন্ধ পেয়ে শেষমেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই প্রৌঢ়।

Advertisement

সোমবার অভূতপূর্ব এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার আন্দুল রোডের কাছে, আলমপুরে। সেখানকার বাসিন্দা, ৫১ বছরের সমীর পাঁজা এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টাল ‘কোউইন’-এর মাধ্যমে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার জন্য নিজের নাম নথিভুক্ত করেন। নিকটবর্তী কোনও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্লট ফাঁকা না-থাকায় তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয় আমতার পানপুরের জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সুস্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে।

সমীরবাবুর মেয়ে পুষ্পিতা পাঁজা বললেন, ‘‘কোউইনে গিয়ে বাবার নাম আমিই নথিভুক্ত করি সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে। ওই পোর্টাল থেকেই জানানো হয়, বিকেল ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে আমতার পানপুরের ওই কেন্দ্রে প্রতিষেধক নিতে যেতে হবে। নিয়ম মতো বুকিংয়ের একটা ‘রেফারেন্স আইডি’ও দেওয়া হয়।’’

Advertisement

পুষ্পিতা জানান, এর ঠিক ১০ মিনিট পরে মোবাইলে মেসেজ করে প্রথমে জানানো হয়, তাঁর বাবার দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে। সেই সঙ্গে প্রতিষেধকের শংসাপত্রও ডাউনলোড করে নিতে বলা হয়। শংসাপত্র ডাউনলোড করে দেখা যায়, ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষেধক-কর্মীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যে ভাবে শংসাপত্রে থাকে, ঠিক সে ভাবেই।

হতবাক সমীরবাবু এর পরে ছোটেন পানপুরের ওই কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে দেখেন, দরজায় তালা ঝুলছে। এর পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি যান এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সেখান থেকে জানতে পারেন, প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ সকালেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আর কিছু করার নেই। কিন্তু প্রতিষেধক নেওয়ার আগেই কী ভাবে শংসাপত্র এসে গেল বা এর পরে দ্বিতীয় ডোজ় তিনি কী করে পাবেন, দিনভর পানপুরে ঘুরেও তার উত্তর পাননি সমীরবাবু। শেষে বাড়িই ফিরে আসেন তিনি। পরে স্থানীয় সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ জানান।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘আরোগ্য সেতু অ্যাপ দিয়ে প্রতিষেধকের বুকিং করার পরে এই ধরনের একটি ঘটনা দিন কয়েক আগে ঘটেছিল। কিন্তু কোউইন পোর্টালের মাধ্যমে বুক করার পরেও এমনটা কী ভাবে ঘটল, বুঝতে পারছি না। সবই কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপের গোলমাল। আমাদের এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই। তবে ওই ব্যক্তি যোগাযোগ করলে দ্বিতীয় ডোজ়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement