—প্রতীকী ছবি।
রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়ার শেষে সকলে কলেজের হস্টেলে যে যার ঘরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষণ পরেও একটি ঘর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্য আবাসিকেরা দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন। তখনই সেই ঘরে থাকা পড়ুয়াকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় কড়েয়া থানায় ফোন করেও খবর দেওয়া হয়। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় দ্রুত ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। হস্টেলের ভিতরে এক পড়ুয়ার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম কে বাইরাসা। তাঁর বাড়ি মিজোরামের সাইহা জেলায়। ওই ছাত্র কলকাতার বিশপ কলেজে ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করতেন। বেকবাগানের কাছে কলেজের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। জানা গিয়েছে, হস্টেলে আলাদা ঘরে থাকতেন বাইরাসা। শনিবার রাতে অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে খাওয়া শেষ করে নিজের ঘরে চলে যান। রাত ১২টা নাগাদ অন্য আবাসিকেরা ওই ঘর থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে ভেজানো দরজা ঠেলে ভিতরে ঢোকেন। ঘরের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় বাইরাসাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ পড়ুয়াকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, অধিকাংশ ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়াই হস্টেলে থাকেন। বাইরাসা বছরখানেক আগে মিজোরাম থেকে এসে ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথম থেকেই হস্টেলে থাকতেন। হস্টেলের এক কর্মী বলেন, ‘‘রাতে পড়ুয়াদের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি, মেঝেয় পড়ে রয়েছে ছেলেটি। ধাক্কাধাক্কি করেও সাড়া না পেয়ে অন্যদের জানানো হয়।’’
প্রাথমিক ভাবে বাইরাসার শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে পুলিশের। পুলিশের তরফে বাইরাসার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিজনেরা রবিবারেই রওনা দিয়েছেন। আজ, সোমবার মৃতদেহের ময়না তদন্ত হবে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’