ফাইল চিত্র।
অনলাইন না অফলাইন, আসন্ন সিমেস্টার পরীক্ষা কোন মোডে নেওয়া হবে, ৩ জুন সিন্ডিকেটের বৈঠকে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তার আগেই স্নাতকের চূড়ান্ত সিমেস্টারের ফর্ম পূরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে কাল, বৃহস্পতিবার। কলেজগুলি অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে ২১ জুন। এর ফলে পরীক্ষা পিছিয়ে জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথমে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ অবশ্য থামেনি। তবে আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্নাতকোত্তর স্তরে অফলাইনে পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতক স্তরে কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আজ, বুধবার।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে বিএ, বিএসসি, বিকমের ষষ্ঠ সিমেস্টার এবং বিএ, বিএসসি, বিকম (১+১+১ পদ্ধতি)-এর পার্ট থ্রি-র অনার্স, জেনারেল ও মেজরের পরীক্ষার ফর্ম পূরণ শুরু হবে ২৬ মে, চলবে ৩ জুন পর্যন্ত। সাধারণত চূড়ান্ত সিমেস্টার ও চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা মে মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এ বার এই পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা ২১ জুনের পরে অর্থাৎ জুনের একদম শেষে বা জুলাইয়ের শুরুতে। অর্থাৎ ফলপ্রকাশেও দেরি হবে।
অনেক ছাত্রছাত্রীই ভিন্ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। বিদেশেও স্নাতকোত্তর পাঠ নিতে যান অনেকে। তাঁদের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা আছে বলেই মনে করছে শিক্ষা শিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) আশিস চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘২১ জুনের পরেই পরীক্ষা হবে। দিন এখনও ঠিক হয়নি। গত বছর করোনার কারণে পরীক্ষা হয়েছিল অগস্টে। যাঁরা বাইরে গিয়েছিলেন, তাঁদের ‘কোর্স কমপ্লিশন সার্টিফিকেট’ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই শুনেছি।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের বোর্ড অব স্টাডিজ় এবং স্নাতকোত্তরের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল ইতিমধ্যেই অফলাইনে পরীক্ষার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেছে। ২৭ মে এই বিষয়ে অধ্যক্ষদের মতামত জানা হবে। পরীক্ষা অফলাইন না অনলাইনে হবে সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৩ জুন সিন্ডিকেটের বৈঠকে।
এসএফআই এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে জানেয়েছে, আসন্ন সিমেস্টার পরীক্ষা কোন মোডে হবে, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং অচলাবস্থার সমাধানসূত্র বার করতে হবে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, হোম সেন্টারে অফলাইনে স্নাতক স্তরের আসন্ন সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। স্নাতকোত্তরের পরীক্ষাও নেওয়া হবে অফলাইনে। কিন্তু আন্দোলন চলছেই। এই অবস্থায় স্নাতক স্তরের পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কলেজগুলির অধ্যক্ষ, কর্মসমিতির সদস্য এবং বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বুধবার বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা। অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে এ দিনেও গুসকরা ও শ্যামসুন্দর কলেজে বিক্ষোভ হয়। উপাচার্য জানান, স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা অফলাইনেই হবে। দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা নেবে অফলাইনে।