উদ্যোগ: নিজের তৈরি মডেল দেখাচ্ছে এক পড়ুয়া। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
হেলমেট না পরে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে যে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে, এমনকি মাঝেমধ্যে ঘটছে মৃত্যুও, তা প্রায়ই চোখে পড়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী আদ্যাসা পট্টনায়কের। তাই সে বাইক এবং হেলমেটে এমন এক সেন্সর লাগিয়েছে যে, হেলমেট না পরলে মোটরবাইক চালুই হবে না। এমনকি মদ্যপান করে হেলমেট পরলে সেন্সর সেটাও জানান দেবে— জানাল ওড়িশার একটি স্কুলের ওই ছাত্রী।
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে সম্প্রতি শুরু হওয়া বিজ্ঞান মেলায় আদ্যাসার ওই মডেল দেখতে ভিড় করেছিলেন দর্শকেরা। ওই মডেলই শুধু নয়, পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের তাক লাগানো সব মডেল দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল মেলায়। যেমন, কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ভূমিকম্পে বাড়ির কোনও ক্ষতি হবে না, তা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেছে দার্জিলিংয়ের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সুজয় ছেত্রী।
আবার ড্রোন যে শুধু ছবি তোলার জন্যই নয়, ওষুধ বা জরুরি কোনও জিনিস সহজে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেও কত কার্যকর তা দেখিয়েছে সিকিমের একটি স্কুলের ছাত্র। মানুষের মাথার চুল যে ছাঁকনির কাজেও ব্যবহার করা যায়, সেখান থেকে রোধ করা যায় নদীর দূষণ— দর্শকদের সামনে তা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেছে সোদপুরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শম্ভুনাথ পাল। বিআইটিএমের এক আধিকারিক গৌতম শীল বলেন, “পড়ুয়াদের তৈরি এই সব মডেল মানুষের কাজে লাগবে। তাঁদের
মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে এগুলি সাহায্য করবে।’’