UNESCO

পুজোর আমেজ পেতে শহরে ফের ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা

আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া। তার তিন দিন আগে দুর্গাপুজো শিল্পের এই বিশেষ প্রাক্-প্রদর্শনী উপলক্ষেই যেন উৎসবের বোধন হচ্ছে কলকাতায়।

Advertisement

ঋজু বসু

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নিছকই প্রাচীন নির্মাণ নয়। দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক পরম্পরাও বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে ২০ বছর আগে তা রক্ষার ব্রতে শামিল হয়েছিল ইউনেস্কো। ২০ বছরে ১৪০টি দেশে ৬৭৭টি আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য চিহ্নিতও করেছে তারা। সেই বিশেষ উদ্যোগের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ বার কলকাতাতেও আসছে ইউনেস্কো। মহালয়ার ঠিক আগে কলকাতায় একটি প্রাক্‌-পুজো উৎসবের শরিক হওয়ার কথা ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছে তারা।

Advertisement

আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া। তার তিন দিন আগে দুর্গাপুজো শিল্পের এই বিশেষ প্রাক্-প্রদর্শনী উপলক্ষেই যেন উৎসবের বোধন হচ্ছে কলকাতায়। ইউনেস্কোর তরফে অনুষ্ঠানটির খুঁটিনাটি প্রকাশ করে দুর্গাপুজো তথা বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প উৎসব বিশ্বের সামনে মেলে ধরার একটি জুতসই পরিসর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বারও প্যারিস থেকে প্রতিনিধিদল পাঠাবে ইউনেস্কো। দুর্গাপুজোর প্রাক্‌-প্রদর্শনীর জন্য ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দু’টি সাবেক পুজো এবং দু’টি বনেদি পুজো-বাড়িকে বেছে নিয়েছেন অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তারা। ১১-১৪ অক্টোবর, সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাতভর চলবে এই মণ্ডপ-সফর। ‘মাস আর্ট’ বলে একটি মঞ্চের ওয়েবসাইটে প্রাক্‌-প্রদর্শনীটি দেখার খবরাখবর মিলবে।

উদ্যোক্তাদের তরফে সায়ন্তন মৈত্র বলেন, ‘‘প্রাক্‌-পুজো প্রদর্শনী বা প্রিভিউ শোয়ের জন্য ৬৩টি বারোয়ারি পুজোর আবেদন পেয়েছিলাম। বিদেশি শিল্পীদের একটি বিচারকমণ্ডলীর মাধ্যমে পুজোগুলি বাছাই করেছি। একই সময়ে টাউন হলে দিনের বেলায় দুর্গাপুজো
বিষয়ক একটি প্রদর্শনীও চলবে। তাতে থাকবে কুমোরটুলির ঠাকুর গড়া থেকে পুজোর ভাসান পর্যন্ত সব কিছু।’’ প্রাক্‌-পুজো প্রদর্শনীটিতে কলকাতার সেরা শিল্পীদের পুজো, নামী ও জনপ্রিয় থিম পুজো, জনপ্রিয় সাবেক পুজো এবং কয়েকটি বনেদি বাড়ির পুজো দেখার সুযোগ থাকবে। বনেদি বাড়িগুলি (কলুটোলার রায়বাড়ি এবং জোড়াসাঁকোর দাঁ বাড়ি) অবশ্য উদ্যোক্তারা বাছাই করেছেন। ১০-১২টি দেশের রাষ্ট্রদূতেরাও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন।

Advertisement

উদ্যোক্তাদের দাবি, গত বছর এই প্রাক্‌-পুজো অনুষ্ঠানে ২০ হাজার অতিথির ভিড় হয়েছিল। এ বার দেশ-বিদেশের শিল্পরসিক গোষ্ঠী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। রাজ্য পর্যটন দফতরও উদ্যোগটির পাশে। পুজোর আগে পুজো দেখার এই
উপলক্ষ থেকে রাজ্যে পর্যটক টানার বিরাট দরজা খুলে যাচ্ছে। উদ্যোগটির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিলও। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা দেবাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুজোর ভিড় এড়িয়ে পুজো দেখার এমন সুযোগ বিদেশি অতিথিদের জন্য
কলকাতার সেরা বিজ্ঞাপন হয়ে উঠতে পারে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement