সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে রেস্তরাঁয় ভাঙচুরের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতার আনন্দপুরের একটি রেস্তরাঁয় হামলা চালানোর ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় বছর পঁয়ত্রিশের কৃষ্ণ মণ্ডল ওরফে সুশীল এবং বছর ঊনত্রিশের সুশান্ত নস্করকে। দু’জনেরই বাড়ি আনন্দপুরের আইএফবি খালপাড় এলাকায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাত জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সোমবার রাতে আনন্দপুর এলাকার একটি রেস্তরাঁয় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। রেস্তরাঁর ম্যানেজার নারায়ণ সিংহ এ নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সঞ্জয় দাস নামের এক ব্যক্তি সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দলবল নিয়ে তাঁর রেস্তরাঁয় হামলা চালান। তাঁর সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পায় পুলিশ। তা দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়।
হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে আনন্দপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয় সেখানকার মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডল ওরফে টাইগারকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন অজিত দাস ওরফে লম্বু। ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবারই দীপঙ্কর দাস এবং মহীন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত নামের দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল আনন্দপুর থানার পুলিশ। দু’জনেই আনন্দপুরের বাসিন্দা। বুধবার ধরা পড়েন মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ও। তিনি নেতাজি সুভাষনগর কলোনির বাসিন্দা। হামলার নেতৃত্বে তিনিই ছিলেন বলে অভিযোগ। কী কারণে, কোন আক্রোশ থেকে রেস্তরাঁয় ভাঙচুর চালালেন সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গীরা, রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগে থেকে তাঁদের কোনও বচসা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ, রেস্তরাঁয় ঢুকে কোনও কারণ ছাড়াই ভাঙচুর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। সেখানকার কর্মীদের মারধর করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় সিসি ক্যামেরাও। শুধু তা-ই নয়, রেস্তরাঁর বাইরে দাঁড় করানো কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে রেস্তরাঁর কয়েক জন কর্মী জখম হন।