Rahul Gandhi

সংসদে ‘চক্রব্যূহ’ মন্তব্যের ‘প্রতিশোধ’, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ছক কষছে ইডি! দাবি রাহুলের

সোমবার লোকসভায় বাজেট সংক্রান্ত বিতর্কে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে রাহুল মহাভারত এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। সেই সূত্রেই উঠে এসেছিল চক্রব্যূহের প্রসঙ্গ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র

সংসদে ‘চক্রব্যূহ’ মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ইডি অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে এমনই দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির ‘ভিতরের লোকেরাই’ তাঁকে এই খবর দিয়েছেন। ওই পোস্টেই ইডির ডিরেক্টরের উদ্দেশে রাহুল জানান, তিনি এই অভিযানের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। তাঁর তরফে চা-বিস্কুট প্রস্তুত রাখা হবে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার লোকসভায় বাজেট সংক্রান্ত বিতর্কে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে রাহুল মহাভারত এবং কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। সেই সূত্রেই উঠে এসেছিল চক্রব্যূহের প্রসঙ্গ। চক্রব্যূহের সামরিক গঠন অনেকটা পদ্ম ফুলের মতো, যে কারণে চক্রব্যূহকে ‘পদ্মব্যূহ’-ও বলা হয়ে থাকে। সেই কথা উল্লেখ করেই কেন্দ্রের বিজেপি শাসিত সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “হাজার হাজার বছর আগে কুরুক্ষেত্রে ছ’জন মিলে অভিমন্যুকে চক্রব্যূহে ফাঁসিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমিও একটু পড়াশোনা করে দেখেছি, চক্রব্যূহকে পদ্মব্যূহও বলা হয়। পদ্মের মতো সামরিক গঠনের জন্য।”

এর পরই কেন্দ্রকে বিঁধে সোমবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল বলেছিলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে এক নতুন চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছে। তা-ও আবার পদ্ম ফুলের আকারে। যার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী বুকে পরে থাকেন। অভিমন্যুর সঙ্গে যা করা হয়েছিল, যে ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল চক্রব্যূহে, সেটাই দেশের সঙ্গে, দেশের যুব সমাজ, কৃষক, মহিলা এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে করা হচ্ছে।” রাহুলের যুক্তি, মহাভারতের চক্রব্যূহের রাশ ছিল ছ’জনের হাতে— দ্রোণাচার্য, কর্ণ, কৃপাচার্য, কৃতবর্মা, অশ্বত্থামা ও শকুনি। বর্তমান সময়ের যে চক্রব্যূহের কথা রাহুল বলছেন, সেখানেও ছ’জনের হাতে রাশ রয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। রাহুলের মতে সেই ছ’জন হলেন— প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং দুই শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী ও গৌতম আদানি। লোকসভায় রাহুল এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আপত্তি জানান স্পিকার ওম বিড়লা। বিজেপি শিবির থেকেও হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। স্পিকার রাহুলকে জানান, যাঁরা লোকসভার সদস্য নন, তাঁদের নাম ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে রাহুল এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “স্পষ্টতই দু’জন আমার চক্রব্যূহ মন্তব্য পছন্দ করেননি। ইডির ভিতরের লোকেরা আমায় বললেন, একটি তল্লাশি অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।” মনে করা হচ্ছে, রাহুল চক্রব্যূহ মন্তব্যে তাঁর উল্লিখিত ছ’জনের মধ্যে দু’জনের দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement