বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় মধ্য কলকাতায় ই-মলের সামনে ঘটে অপহরণ। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চাঁদনি চক থেকে অপহরণের ঘটনায় ধৃত কলকাতা পুলিশের দুই
কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করল লালবাজার। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোর্সের কনস্টেবল শ্যামল মণ্ডল ও জাকির খানকে শুক্রবার সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে লালবাজারের কর্তারা জেনেছেন, ঘটনার দিন ওই দুই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর ডিউটি থাকা সত্ত্বেও তারা সেখানে যায়নি। আরও অভিযোগ, অনুপস্থিতির বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষকেও কিছু জানায়নি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীরা ঠিক মতো ডিউটি করছেন কি না তার উপরে নজরদারি চালানোর জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, ধৃত বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেফতারের পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি অংশ।
গত বৃহস্পতিবার চাঁদনি চকের একটি শপিং মলের কাছ থেকে সৌমেন বসু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীদের মধ্যে ছিল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের তিন কনস্টেবল এবং বিএসএফের এক জওয়ান। ওই রাতেই বীরভূমের লাভপুর থেকে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে সৌমেনকে উদ্ধার করেন। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত চার জন-সহ সাত জনকে।
পুলিশ জেনেছে, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা তুলেছিল সৌমেন। কিন্তু চাকরি বা টাকা ফেরত না পেয়ে অভিজিৎ ঘোষ নামে এক প্রতারিত যুবক অভিযুক্ত পুলিশকর্মী এবং জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ওই অপহরণ ঘটায়। পরে অবশ্য অপহৃত সৌমেনকেই গ্রেফতার করে বৌবাজার থানা। তাকে নিয়ে রবিবার সোদপুরে তার বাড়িতেও যায় তদন্তকারীদের একটি দল। পুলিশ জানিয়েছে, সৌমেন আর কত
জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।