—প্রতীকী ছবি।
আলু ভর্তি গাড়ি ঢুকেছে এলাকায়। কিন্তু গাড়িতে আসা কয়েক জন ব্যক্তির গতিবিধি এবং আচরণ সন্দেহ বাড়ায়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা দেখতে যান, গাড়িতে কী আছে। তার পরে তল্লাশি চালাতেই আলুর বস্তা থেকে বেরোয় লুকোনো প্যাকেট। আর সেই প্যাকেট খুলতেই বেরিয়ে পড়ে গাঁজা! শনিবার সকালে নিউ ব্যারাকপুরের বোদাই তালবান্দা এলাকার এই ঘটনায় গাড়িটি থেকে প্রায় ৬৬ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম রাজু মজুমদার এবং রঞ্জিত সাহা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, রঞ্জিত বনগাঁ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। রাজুর বাড়ি তালবান্দায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড সংলগ্ন বোদাই তালবান্দা এলাকায় একটি অনুষ্ঠান বাড়ির পিছনে ওই পণ্যবাহী গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। গাড়ি থেকে বস্তা নামানো হচ্ছিল। কাছাকাছি ওই এলাকায় কোনও আলুর গুদাম বা কারও আলুর ব্যবসা রয়েছে বলে পুলিশের জানা ছিল না। সেই কারণে আরও সন্দেহ বাড়ে। গাড়িটির কাছে যেতেই দুই ব্যক্তি স্কুটার রেখে পালান। কিন্তু পুলিশ গাড়িচালক রঞ্জিতকে ধরে ফেলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশির কাজ শুরু হয়।
পুলিশ জানতে পারে, গাড়িতে ৮০ বস্তা আলু রয়েছে। কয়েকটি বস্তার ভিতর থেকে মেলে প্যাকেট। সেই সব প্যাকেট খুলতেই গাঁজার হদিস মেলে। ফেলে যাওয়া স্কুটারের সূত্র ধরে পুলিশ ওই এলাকার বাসিন্দা রাজুর বাড়িতে হাজির হয়। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মেলে আরও চারটি প্যাকেট। চালক-সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও রাজুর সঙ্গে স্কুটারে থাকা তাঁর সঙ্গীর খোঁজ পায়নি পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের শীতলকুচি এলাকা থেকে ওই গাঁজা আনা হয়েছিল। মোট ১৪টি প্যাকেটে ভরে প্রায় ৬৬ কেজি গাঁজা আনা হয়। রাজুর বাড়িতেই গাঁজা মজুত করে রাখার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল। তদন্তকারীদের একাধিক প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব না মেলায় ওই দুই ব্যক্তিকেগ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।
এক পুলিশকর্তা জানান, ওই গাঁজা কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, সেই তথ্য পেতে দফায় দফায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার ধৃতদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত হয়।