ফাইল চিত্র।
বইমেলার জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩০০ অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করছে পরিবহণ দফতর। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য পরিবহণ নিগম ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ওই সমস্ত বাস চালাবে। করুণাময়ী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ময়ূখ ভবনের সামনে বিশেষ টার্মিনাস পর্যন্ত ওই বাস চলবে।
শিয়ালদহ, কামালগাজি, টালিগঞ্জ মেট্রো, ডানলপ, রথতলা এবং উল্টোডাঙা থেকে করুণাময়ী পর্যন্ত বিশেষ শাটল সার্ভিস চালাবে পরিবহণ দফতর। এ ছাড়া হাওড়া, পর্ণশ্রী, ঠাকুরপুকুর, জোকা, গড়িয়া, যাদবপুর, বারুইপুর, বারাসত, চিড়িয়া মোড়, ব্যারাকপুর ও বালি থেকেও বইমেলামুখী বাস ছাড়বে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম হলদিয়া, মহিষাদল, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম,
সিউড়ি, বোলপুর, আসানসোল ও দুর্গাপুর থেকে বিশেষ বাস চালাবে। তাতে একযোগে যাওয়া-আসার সুযোগ এবং জলযোগের ব্যবস্থা থাকবে। বইমেলার উদ্যোক্তা ‘বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড’-এর দুই কর্তা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং সুধাংশুশেখর দে এ দিন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বইমেলা লাগোয়া বিভিন্ন রুটের অটো ইউনিয়নের সঙ্গেও গিল্ডের কথা হয়। বইমেলায় যাঁরা আসবেন, তাঁদের উপরে অটোচালকদের দৌরাত্ম্য রুখতে ভাড়ার অঙ্ক বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সল্টলেক এবং নিউ টাউন-রাজারহাটের বিভিন্ন নাগরিক মঞ্চের দাবি মেনে এ বার মেলার মাঠে আলাদা সাইকেল স্ট্যান্ড করা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের মতে, এ ভাবেই বইমেলাকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার পথে এক কদম এগোনো হবে। গিল্ডের তরফে শহরের বেশ কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রমেও গ্রন্থাগারের জন্য বই দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন উদ্যোক্তারা।