বেপরোয়া বাইক রুখে প্রহৃত সার্জেন্ট

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পদ্মপুকুরের কাছে সিআইটি রোড ধরে একটি মোটরবাইক বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। চালক ও আরোহী কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৯ ০১:০৩
Share:

হেলমেটবিহীন এক বেপরোয়া মোটরবাইক চালককে রুখতে গিয়ে প্রহৃত হলেন এক ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। অভিযোগ, বেপরোয়া মোটরবাইক ধরার অভিযান চালানোর সময়ে পার্ক সার্কাস ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট ইয়ার মহম্মদ বিশ্বাসকে ঘুসি মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে এন্টালির সিআইটি রোডে। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পদ্মপুকুরের কাছে সিআইটি রোড ধরে একটি মোটরবাইক বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। চালক ও আরোহী কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। ওই সময়ে এলাকায় ডিউটি করছিলেন ইয়ার মহম্মদ। পুলিশ জানিয়েছে, ইয়ার মহম্মদ দেখেন, মোটরবাইকের চালক এবং আরোহী হাত-পা ছুড়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করতে করতে যাচ্ছে। বেশ কিছু ক্ষণ ওই দু’জনের গতিবিধি লক্ষ করার পরে লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘরের কাছে ইয়ার মহম্মদ মোটরবাইকটি আটকান। পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইকের চাবি খুলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ ওই ট্র্যাফিক সার্জেন্টের।

এই ঘটনার পরে মোটরবাইকের চালক কার্তিকপ্রসাদ রায় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর পরে মোটরবাইকের আরোহী সেবাস্টিয়ান জন গোমস ট্র্যাফিক সার্জেন্টের মুখে ঘুসি মারে বলে অভিযোগ। ইয়ার মহম্মদের মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরোহীকে ঘিরে ফেলেন। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে সেবাস্টিয়ানকে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছে়ড়ে দেওয়া হয় ইয়ার মহম্মদকে। পরে রবিবার রাতে কার্তিকপ্রসাদকেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে কার্তিকপ্রসাদ জামিন পেয়ে যায়। সেবাস্টিয়ান গোমসকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement