কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল। — ফাইল ছবি।
সংবাদ সংস্থা বৃহস্পতিবার মাঝরাতে মাতৃবিয়োগ। সে কারণে কলকাতায় এসে কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। যদিও তার পরেও কলকাতায় যান নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা বহাল থাকছে। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল। চলবে কড়া নজরদারি। অসুবিধায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার সকালে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন ছাড়াও কলকাতা মেট্রোর জোকা-তারাতলা শাখার উদ্বোধন এবং জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মোদীর। কিন্তু মা হীরাবেনের মৃত্যু হয়েছে। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ কলকাতায় থাকবেন, ততক্ষণ নিয়ন্ত্রিত হবে যান। এখনও তার খুব অন্যথা হবে না।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছিল, মোদীর সফরের জন্য সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হাওড়া ব্রিজ এবং স্ট্র্যান্ড রোড। তবে ওই সময়ে হাওড়ার দিকে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। অন্য দিকে, জওহরলাল নেহরু রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, এজেসি বোস রোড এবং এপিসি রোড ব্যবহার করা যাবে।
প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, বিশেষ উড়ানে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে রেস কোর্স পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সড়কপথে যাবেন হাওড়া স্টেশন। তিনি কোন পথে যাবেন, তা নিরাপত্তার কারণেই স্পষ্ট করে জানানো হয়নি প্রশাসনের তরফে। তবে রেস কোর্স থেকে রেড রোড এবং স্ট্র্যান্ড রোড ধরে হাওড়া ব্রিজ হয়ে স্টেশনে ঢোকার সম্ভাবনা ছিল মোদীর কনভয়ের। সে কারণেই ওই এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। সকাল ১১টা নাগাদ সেখানে বন্দে ভারতের উদ্বোধন সেরে প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী গন্তব্য ছিল নেভি হাউস। হাওড়া স্টেশন থেকে নেভি হাউস পর্যন্ত মোদীর যাত্রাপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ছ’কিলোমিটার। হাওড়া সেতু এবং স্ট্র্যান্ড রোড ধরে নেভি হাউস পৌঁছতে পারতেন তিনি। সে কারণে ওই এলাকাতেও যান নিয়ন্ত্রিত ছিল।