বাসে থেকে যাওয়া খুদে পড়ুয়াকে উদ্ধার করে বাবার হাতে তুলে দিচ্ছেন সার্জেন্ট জয়দীপ দে। ছবি:সংগৃহীত।
পাড়ার কাকু-কাকিমার সঙ্গে আঁকার ক্লাসে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিল পাঁচ বছরের টোটন মিস্ত্রি। জোকার বাসিন্দা টোটন ছাড়াও কাকু-কাকিমার নিজের দুই ছেলে মিলিয়ে দলে চারজন ক্ষুদে। কিন্তু হঠাৎ যে কাকু-কাকিমা তাকে বাসে রেখেই নেমে যাবেন তা বুঝতে পারেনি সে। একা টোটন যখন বাসে হাপুস নয়নে কাঁদছে তখন পুলিশ কাকুরা তাকে উদ্ধার করে তুলে দিল বাবার নিরাপদ হাতে।
বেলা দেড়টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার রোডে ৩এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে ওই দম্পতি বাস থেকে নেমে নামেন। নেমেই বুঝতে পারেন, একজন বাসে রয়ে গিয়েছে। সবাই বাস থেকে নামলেও টোটন নামেনি। সে নামার আগেই বাস ছেড়ে দিয়েছে। বাস চলে গিয়েছে তারাতলার দিকে।
হতভম্ব হয়ে ওই দম্পতি গোটা ঘটনা বলেন ওই মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল শিশু কিস্কুকে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডকে খবর দেন। ট্রাফিক গার্ড থেকে ওয়্যারলেস বার্তা দেওয়া হয় আশেপাশের সমস্ত ট্রাফিক গার্ডকে। ইতিমধ্যে ওই বাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বরও পাওয়া যায়। সেই নম্বরের সূত্র ধরে ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল পরিমল মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার রোড এবং রায় বাহাদুর রোডের সংযোগস্থলে বাসটিকে আটকান। ততক্ষণে বাসের পিছনে ধাওয়া করেছেন ঠাকুরপুকুর ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট জয়দীপ দে।
আরও পড়ুন: কাটমানির অভিযোগের জের, প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মানাহানির মামলা শান্তনু সেনের
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ উপকূল রক্ষীদের রাতভর অপারেশন, উদ্ধার ১০০ ভারতীয় ট্রলার
পরিমল এবং জয়দীপ বাস থেকে টোটোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ৩এ বাস স্ট্যান্ডে। ইতিমধ্যে ওই দম্পতির কাছ থেকে টোটনের বাড়ির নম্বর নিয়ে খবর দেওয়া হয়েছে তার বাবাকে। আধ ঘণ্টার মধ্যে টোটনকে ঠাকুরপুকুর থানার আধিকারিকের সামনে তুলে দেওয়া হয় বাবার হাতে।