অমান্য: এলাকায় শুরু হয়েছে সাত দিনের লকডাউন। তার মধ্যেই দোকান খুলে চলছে রান্না। রবিবার, বিরাটি স্টেশন চত্বরে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
আজ, সোমবার থেকে দমদম থানা এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রাখার পাশাপাশি যান নিয়ন্ত্রণও হবে। সেই সঙ্গে বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে উত্তর ব্যারাকপুরের নোয়াপাড়া থানা এলাকার দুই পুর এলাকাতেও।
দমদম ও দক্ষিণ দমদম দুই পুরসভাই জানিয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাজার, দোকান। তবে আরও এক ঘণ্টা ছাড় দেবে পুলিশ। তার পরেই যশোর রোড এবং দমদম রোড ছাড়া বাকি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম, দমদম এবং উত্তর দমদমের পাশাপাশি, আজ থেকে একই বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে উত্তর ব্যারাকপুর পুর অঞ্চলের নোয়াপাড়া থানা এলাকায়। এই থানার মধ্যে পড়ছে গারুলিয়া পুর এলাকাও। এই এলাকাগুলিতে সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে বলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, জানিয়েছে পুলিশ।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “কোন কোন থানা এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দমদম এবং নিমতা থানা এলাকায় সংক্রমণ সব থেকে বেশি। তার পরেই রয়েছে বরাহনগর, খড়দহ এবং নোয়াপাড়া থানা এলাকা। বরাহনগর এবং খড়দহের সংক্রমিত এলাকাগুলি ইতিমধ্যেই কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা হয়েছে। দমদম থানার সঙ্গে নোয়াপাড়া থানা এলাকাতেও এ বার বিধিনিষেধ আরোপ করছি।”
পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ১২টার পরে শুধুই যশোর রোড এবং দমদম রোড খোলা থাকবে। বাকি সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। অটো, টোটো, রিকশা, মোটরবাইক ও ছোট গাড়ি এলাকার মধ্যে চলতে দেওয়া হবে না। তবে জরুরি কাজে ছাড় দেওয়া হবে। খোলা থাকবে ওষুধ-সহ অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের দোকান। দোকান-বাজার যত ক্ষণ খোলা থাকবে, দূরত্ব-বিধি মেনে কেনাকাটা করতে হবে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো নাগরিককে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। কারণ, দোকান, বাজারে দূরত্ব-বিধি শিকেয় ওঠার জন্য সংক্রমিতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তাই সেই ভিড়ে রাশ টানলেই সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে আশা পুলিশের।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, আজ বেলা ১১টার পর থেকেই নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত গারুলিয়া পুরসভা এবং উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার বড় অংশের বাজার-হাট, দোকানপাট সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। তার পরে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাই চালু থাকবে। এখানেও বড় রাস্তা ছাড়া ওই এলাকার সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকবে। অটো, টোটো, মোটরবাইক, ছোট গাড়ির যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে জরুরি কাজে ছাড় দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, উত্তর ব্যারাকপুর এবং গারুলিয়া পুর এলাকায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবু রাজ্য প্রশাসন এই দু’টি পুরসভার কোনও এলাকাকেই কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেনি। ফলে বাজার এবং রাস্তার ভিড়ে কোনও ভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। অবশেষে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে পুলিশ নতুন নতুন এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসেবেই নোয়াপাড়া থানা এলাকাতেও বিধিনিষেধ আরোপ হল।