traffic jam

ধর্মতলার রাস্তায় বসে প্রতিবাদ চাকরিপ্রার্থীদের, জোড়া মিছিলের চাপে যানজট মধ্য কলকাতায়

সোমবার ধর্মতলায় রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসএন ব্যানার্জি রোডের একটি দিক পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্য দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৩২
Share:

প্রতিবাদীদের জোড়া মিছিলে সোমবার যানজট মধ্য কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র।

আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রতিবাদীদের জোড়া মিছিলে সোমবার প্রায় থমকে গেল মধ্য কলকাতা। যানজট তৈরি হল শহরের কেন্দ্রে। বিপাকে পড়লেন স্কুল-কলেজফেরত পড়ুয়া, অভিভাবক থেকে নিত্য অফিসযাত্রী। সোমবার বিকেলেও ধীর গতিতে যান চলাচল করছে এসএন ব্যানার্জি রোড এবং লেনিন সরণিতে।

Advertisement

সোমবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার দিকে চাকরির দাবিতে মিছিল করে যান প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (টেট), স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি) চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এটি ছিল মহামিছিল। কারণ একজোট হয়েছেন সকল চাকরিপ্রার্থী। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিছিলটি মৌলালি এবং এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলা পৌঁছয়। ধর্মতলায় রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। সে সময় এসএন ব্যানার্জি রোডের একটি দিক পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল। অন্য দিক দিয়ে গাড়ি চলাচল করছিল। স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির গতি ছিল ধীর।

দ্বিতীয় মিছিলটি করছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প়ড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গত ১২ দিন ধরে অনশন করে চলেছেন তাঁরা। পাশে দাঁড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে শামিল অভিভাবকেরাও। সোমবার সেই মেডিক্যাল পড়ুয়ারা নামলেন পথে। মেডিক্যাল কলেজে থেকে হিন্দ সিনেমা পর্যন্ত গিয়ে ফের মেডিক্যাল কলেজে মিছিল করে ফিরে আসেন তাঁরা। মিছিলে যোগ দেন চিকিৎসক বিনায়ক সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্মের চিকিৎসকেরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শিয়ালদহ স্টেশনে টেট চাকরিপ্রার্থীরা অভিনব উপায়ে প্রতিবাদে শামিল হলেন। কেউ মুখ্যমন্ত্রীর মতো সাদা শাড়ি পরে, কেউ বা ‘জীবন্ত লাশ’ সেজে নামেন মিছিলে। মুখ্যমন্ত্রী সেজেছেন প্রতিবাদী বিশাখা ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বহু বার চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। স্বচ্ছ নিয়োগ হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চাই। প্রয়োজনে অনশনে বসতেও দ্বিধা করব না।’’ প্রতিবাদীরা এ-ও দাবি করেন, এক দিকে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে যোগ্য প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবার বঞ্চিত হয়ে ৮ বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement