—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সপ্তাহ দুয়েক আগে কাকদ্বীপ-ডায়মন্ড হারবার রুটের একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২৩৫ নম্বর রুটের বাসকে ধাক্কা মারে। সেই বাস আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে সামনে থাকা কয়েকটি গাড়িকে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক প্রাক্তন পুলিশকর্তার। ওই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে, ২৩৫ নম্বর রুটের বেসরকারি বাসটির বিরুদ্ধে রয়েছে ট্র্যাফিক আইন ভাঙার আড়াইশোটির মতো মামলা। বিভিন্ন সময়ে আইন ভাঙলেও তার জরিমানা মেটায়নি ওই বাস।
লালবাজার জানিয়েছে, শুধু ওই বেসরকারি বাসই নয়, অসংখ্য বার আইন ভেঙে রাস্তায় বহাল তবিয়তে চলছে প্রচুর বাস। এ বার তাই জরিমানার টাকার কথা বাসমালিক বা চালককে মনে করাতে ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কী সেই নির্দেশ? পথে চলছে যে সব বেসরকারি বাস, তাদের বকেয়া মামলার তালিকা বার করতে হবে। বাসমালিকেরা যাতে আগামী লোক আদালতে বা আদালতে ওই জরিমানা মিটিয়ে দেন, তার জন্য ট্র্যাফিক পুলিশকে দরবার করতে বলা হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশে বলা হয়েছে, রাস্তায় চলা বেসরকারি বাসের নামে কত মামলা বকেয়া, তা জেনে তার মালিক বা চালককে জানাবেন ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসারেরা।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, শহরে চলা বেসরকারি বাসের থেকে ট্র্যাফিক আইন অমান্য বাবদ জরিমানা হিসেবে কয়েক কোটি টাকা বকেয়া আছে। সেই টাকা আদায় করার জন্য বাহিনীকে বলা হয়েছে, বকেয়ার তালিকা তৈরি করে বাসমালিকদের জানাতে। অভিযুক্ত বাসমালিক যে এলাকায় থাকেন, সেখানকার ট্র্যাফিক গার্ড জরিমানা মেটানোর বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলবে। পুলিশের মতে, ওই টাকা আদায় হলে যেমন সরকারি কোষাগার ভরবে, তেমনই চালকেরাও ট্র্যাফিক আইন মানার ক্ষেত্রে সজাগ হবেন।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বেসরকারি বাসের বেশির ভাগ বকেয়া মামলাই হল সাইটেশনের (কোনও গাড়ি ট্র্যাফিক আইন ভাঙলে তার নম্বর দেখে ব্যবস্থা নেওয়া) মামলা। ওই জরিমানার টাকা মেটানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় মেলে। সেই সুযোগে বেশির ভাগ বাসমালিক ওই বকেয়া জরিমানা না মিটিয়েই বাস চালান। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আগামী মাসের প্রথমে লোক আদালত রয়েছে। সেখানেই ওই বকেয়া টাকা মালিকেরা যাতে মিটিয়ে দেন, সেই বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে বকেয়া জরিমানা আদায় করতে লালবাজার বিশেষ ছাড় দিয়েছিল। যাতে কয়েক কোটি টাকা আদায় হয়েছিল লালবাজারের।