Kalyani Expressway

পুলিশি নির্দেশই সার, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে অবাধে টোটো ও ভ‍্যান

সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনায় কার্যত বেলাগাম টোটোর রাশ ধরতে রীতিমতো ফ্লেক্স ঝুলিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। কিন্তু তোয়াক্কা করা হচ্ছে না সেই নির্দেশেরও।

Advertisement

বিতান ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০
Share:

অগ্রাহ্য: পুলিশের টাঙানো নিষেধাজ্ঞার পাশ দিয়েই চলছে টোটো। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে। —নিজস্ব চিত্র।

এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার মুখেই গার্ডরেলের গায়ে টাঙানো ফ্লেক্স— ‘টোটো চলাচল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ’। শুধু টোটো নয়, একাধিক বার দুর্ঘটনার জেরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের গোড়া থেকেই তিন চাকার যানে যাত্রী পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা ছিল প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করে দেদার চলছিল যন্ত্রচালিত ভ্যান থেকে টোটো, অটো, এমনকি সাইকেলও। সম্প্রতি একের পর এক দুর্ঘটনায় কার্যত বেলাগাম টোটোর রাশ ধরতে রীতিমতো ফ্লেক্স ঝুলিয়েছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। কিন্তু তোয়াক্কা করা হচ্ছে না সেই নির্দেশেরও।

Advertisement

সম্প্রতি দেখা গেল, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে উড়ালপুল পেরিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছে টোটো, যন্ত্রচালিত ভ্যান ও ব্যাটারিচালিত সাইকেল। কলকাতা বিমানবন্দর এবং মুম্বই রোডের সংযোগকারী বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে মিশেছে ছ’লেনের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। তবে রাস্তার কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় যানবাহন চলাচলে মুড়াগাছা থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত গাড়ির গতি যথেষ্ট শ্লথ থাকছে দিনভর। অন্য দিকে, হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা মোড় পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। কাঁকিনাড়ার কেউটিয়ায় নেওয়া হবে টোল। তার জন্য কাউন্টার তৈরি হয়েছে। বসছে গেট। এ দিকে মুড়াগাছা থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার মুখে, আদর্শনগর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ এখনও বাকি। মূলত জমি অধিগ্রহণের সমস্যার জন্যই দীর্ঘ দিন ধরে শ্লথ গতিতে চলছে সম্প্রসারণের কাজ।

নির্মীয়মাণ এক্সপ্রেসওয়েতে টোটো, ভ্যান, সাইকেল চলেছে যাতায়াতের বিকল্প বন্দোবস্ত না থাকার কারণেই। হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রকল্প নির্দেশক রঞ্জন কুমার বলেন, ‘‘মুড়াগাছা থেকে কাঁপা পর্যন্ত কাজ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করা হবে। সমস্ত উড়ালপুল চালু হয়ে যাবে। জাতীয় সড়কের মতো করেই এই রাজ্য সড়ক তৈরি হয়েছে। তবে এতে ধীর গতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা করে কোনও রাস্তা তৈরি হয়নি। ফলে প্রশাসনকেই ঠিক করতে হবে, ওই সব যানবাহন সার্ভিস রোড দিয়ে চালানো হবে কিনা।’’
ব্যারাকপুর-নৈহাটি রুটে চলা বাস অবশ্য সার্ভিস রোড ব্যবহার করে যাত্রী তোলা-নামার সুবিধার কারণে। টোটোচালক সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা মানতে বলা হয়েছে চালকদের। যদিও রাজু দাস নামে এক টোটোচালককে উড়ালপুল থেকে নামার সময়ে যাত্রী-সহ সম্প্রতি পুলিশ আটক করে। ওই টোটোচালকের দাবি, ‘‘রিজ়ার্ভ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার কথা
বলেছিলেন যাত্রী। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে না গেলে ১০ কিলোমিটার বাড়তি ঘুরতে হবে বলে এই পথ ধরতে হয়েছিল।’’ ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা এড়াতেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে টোটো বা ভ্যান চলাচলের ক্ষেত্রে বারণ করা হয়েছে। নিয়ম ভাঙলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement