এখনও জলমগ্ন এলাকা, কাউন্সিলরকে ঘিরে বিক্ষোভ

ভোগান্তির নিদর্শন মিলেছে এলাকার রায়চরণ ঘোষ রোড, শ্রীধর রায় রোড-সহ কয়েকটি রাস্তায়। জলে ডুবে রয়েছে পার্ক সার্কাস কানেক্টরের বাইপাস সংলগ্ন এলাকাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ ০২:৪০
Share:

জলপথ: মিলনমেলা সংলগ্ন বাইপাস। বুধবার। নিজস্ব চিত্র 

বৃষ্টি হলেও শহরে বেশি ক্ষণ জল জমে থাকে না। এমনই দাবি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহের। তবে তাঁরা যা-ই বলুন না কেন, মঙ্গলবারের বৃষ্টির ২৪ ঘণ্টা পরেও ওয়ার্ডে জল জমে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ঘেরাও করলেন শাসক দলেরই এক কাউন্সিলরকে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বাইপাস সংলগ্ন তপসিয়ার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অবশ্য ক্ষোভ দেখাননি কাউন্সিলর ফৈয়াজ আহমেদ খান। বরং তিনি সমস্ত দায় চাপিয়েছেন দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসারদের উপরেই। ফৈয়াজের কথায়, ‘‘পুরসভার নিকাশি দফতর থেকে কেইআইআইপি-র কর্তাদের বারবার জানিয়েও ফল হয়নি। তাঁরা একে অন্যের উপরে দোষ চাপাচ্ছেন। আর ভুগতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।’’

Advertisement

ভোগান্তির নিদর্শন মিলেছে এলাকার রায়চরণ ঘোষ রোড, শ্রীধর রায় রোড-সহ কয়েকটি রাস্তায়। জলে ডুবে রয়েছে পার্ক সার্কাস কানেক্টরের বাইপাস সংলগ্ন এলাকাও। মিলনমেলার সামনেও প্রায় হাঁটু সমান জল। কেন এমন অবস্থা? তারকবাবু মেনে নিয়েছেন, ওই এলাকা প্রতি বছর জলমগ্ন হয়। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওখানে রাস্তার পাশে নিকাশি নালা করেছে কেইআইআইপি। সেটি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে না হওয়াতেই জল বেরোতে পারছে না।’’

তা হলে কি এলাকার মানুষজনকে বছরের পর বছর এ ভাবেই ভুগতে হবে? মেয়র পারিষদ জানান, বৃষ্টিতে জল জমলেই নিকাশি দফতর পাম্প চালিয়ে তা বার করে দেয়। এ বারও সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় কিছুটা সময় লাগছে।

Advertisement

যদিও পুরকর্তাদের এই কথায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। তাঁরা সাফ অভিযোগ করেছেন, কলকাতার মধ্যে সব থেকে বেশি ভোটে জেতানো হয়েছে ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে। সেখানেই এই হাল। এটাই অস্বস্তিতে ফেলেছে মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খানের ছেলে ফৈয়াজকে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার কাছে দফতরে পাঠানো গুচ্ছ চিঠি রয়েছে। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেননি।’’ তারকবাবু বলেন, ‘‘ফৈয়াজের অভিযোগ মেয়রকে জানিয়েছি।’’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি কেইআইআইপি-র একাধিক কর্তা। মুখ খোলেননি মেয়রও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement