State news

অবশেষে টনক নড়ল পুলিশের, থানায় তাণ্ডবের ঘটনায় ধৃত দুই, এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০৯:০৭
Share:

দীপক অধিকারী এবং ছোটকা দলুই। —নিজস্ব চিত্র।

থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের ঘটনার ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হল দীপক অধিকারী এবং ছোটকা দলুই। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, দীপক আর ছোটকা দু’জনেই ১৭ বি চেতলা রোডের বস্তির বাসিন্দা। রণজয়ের ফোন পেয়ে তারাও থানায় ঢুকে পুলিশকে হেনস্থা করে। সোমবার রাতে গুণ্ডাদমন শাখা বড় বাহিনী নিয়ে ওই বস্তিতে হানা দিয়ে এই দু’জনকে গ্রেফতার করে।

তবে থানার বাইরে পুলিশ কনস্টেবলকে মারতে মারতে টেনে নিয়ে যাওয়ার যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে আকাশ এবং গুল্লু নামে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। এই আকাশ ও গুল্লুই ওই ঘটনার দুই মূল অভিযুক্ত। তাদের কিন্তু এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুলিশ নিগ্রহে শো-কজ থানার ওসিকে

পুলিশ জানিয়েছে, আকাশ ও গুল্লুও ১৭ বি চেতলা রোডের বস্তির বাসিন্দা। এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গণ্ডগোলে এর আগেও দু’জনের নাম উঠে এসেছে। সোমবার রাতে পুলিশের হানা দেওয়ার খবর পেয়ে এলাকার লোকেরা, যাঁদের মধ্যে মূলত মহিলারাই ছিলেন, পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই সুযোগেই আকাশ-গুল্লু এলাকা ছাড়ে বলে পুলিশের অনুমান।

ঘটনাটি ঘটেছিল রবিবার রাতে। প্রকাশ্যে মদ্যপানের অভিযোগে কয়েক জন যুবককে আটক করেছিল টালিগঞ্জ থানার পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওই যুবকেরা চেতলার বাসিন্দা। খবর পেয়েই দফায় দফায় টালিগঞ্জ থানায় তাণ্ডব চালায় উত্তেজিত জনতা। এমনকি থানায় ঢুকে পুলিশ কর্মীদের মারধর করা থেকে শুরু করে থানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, কিছুই বাদ যায়নি। এই ঘটনায় আহত হন অন্তত সাত জন পুলিশ কর্মী, তাঁদের মধ্যে মহিলারাও ছিলেন। ওই রাতে অবশ্য দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে মামলা রুজু হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement