Jadavpur University

TMCP Leader: এ বার অডিয়োর সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন যাদবপুরের সেই টিএমসিপি নেতা

অডিয়ো ক্লিপের কণ্ঠস্বর যে তাঁর এর আগে তা মেনে নিয়েছিলেন সঞ্জীব। ‘কলার ধরা’ কথাটা তিনি ‘রূপক’ অর্থেই ব্যবহার করেছেন বলে দাবি করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩৪
Share:

তৃণমূল ছাত্রনেতা সঞ্জীব প্রামাণিক নিজস্ব চিত্র

প্রথমে নিজেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন, ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপে তাঁর কণ্ঠস্বর। শুধু তাই নয়, তৃণমূল ছাত্রনেতা সঞ্জীব প্রামাণিক জানিয়েছিলেন শিক্ষকের কলার ধরার বিষয়টি তিনি রূপক অর্থে ব্যবহার করেছিলেন। কিন্তু তার ওই অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তার সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন।

সঞ্জীব বলেন, ‘‘যে অডিয়ো ঘুরে বেড়াচ্ছে তার সত্যতা যাচাই করা হোক। যাচাই না করে তা নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি যাদবপুরের শিক্ষকদের একটি সংগঠনের দিকে আঙুল তুলে তারা ওই অডিয়ো ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শিক্ষকদের কোনও একটি সংগঠন চেষ্টা করছে এই অডিয়ো ক্লিপ দিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং আমার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করতে।’’

Advertisement

সোমবার সঞ্জীবের একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে রয়েছি যাদবপুর ইউনিভর্সিটিতে। কেন... কেন? আমি আজকে দাঁড়িয়ে বলছি, কোন টিচারের কলার ধরতে হবে সঞ্জীব প্রামাণিককে বলো। এত বড় ক্ষমতা রাখে সঞ্জীব প্রামাণিক। আমার হিস্ট্রি, অ্যাক্টিভিটি অনেকে জানো না।’’ আনন্দবাজার অনলাইন এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই না করলেও সেটি যে তাঁরই কণ্ঠস্বর, তা প্রথমে মেনে নিয়েছিলেন সঞ্জীব। ‘কলার ধরা’ কথাটির প্রসঙ্গে সাফাই দিয়ে বলেন, কলার ধরা যাকে বলে, সেই অর্থে কথাটা তিনি ব্যবহার করেননি। সেটি ‘রূপক’ অর্থেই ব্যবহার করেছেন!

পাশাপাশি, ওই ক্লিপ প্রসঙ্গে ছাত্রনেতার দাবি, “এই অডিয়ো কোথা থেকে কী ভাবে আসছে এবং কবে, কোথায় হয়েছে, সেটাও একটা বিষয়। তা ছাড়া আমরা তো সচরাচর বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকম কথা বলি। এই কথাগুলো কেন বলা হয়েছে, সেই বিষয়গুলিও দেখতে হবে।”

Advertisement

পরে সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেই অডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement