কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিছু কিছুতেই ছাড়ছে না নির্মল-বিতর্ক। ফাইল ছবি।
নির্মল-বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। শনিবারহাসপাতালের ১৮৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের কাছ থেকে ধিক্কার স্লোগান শুনতে হল তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিকে। তার পরেও অবশ্য নির্মল সভাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যাননি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন। এই ঘটনার কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়াও জানাননি নির্মল।
কলকাতা মেডিক্যালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান নির্মল কেন প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে রয়েছেন, এ দিন সেই প্রশ্ন ওঠে। শুরু হয় স্লোগান। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। পরে তিনি বলেন, ‘‘সামান্য সময়ের জন্য কিছু পড়ুয়া এমন করেছিলেন। ওঁদের বুঝিয়ে, অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে শেষ করা হয়েছে।’’
এ দিন প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতা মেডিক্যালে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য-অধিকর্তা, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দফতরের বিশেষ সচিব-সহ অন্যেরা। তাঁদের সকলের সঙ্গেই মঞ্চে বসে থাকতে দেখা যায় নির্মলকে। অনুষ্ঠান শুরুর কিছু পরেই কলকাতা মেডিক্যালের পড়ুয়াদের একাংশ মঞ্চের সামনে স্পষ্ট স্লোগান তোলেন, ‘তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজিকে আমরা স্বাগত জানাতে পারছি না।’ এর পরেই ধিক্কার স্লোগান উঠতে শুরু করে। পড়ুয়াদের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন, বিনা আমন্ত্রণেই চলে এসেছেন নির্মল। এ দিনের ঘটনার পরে পড়ুয়াদের একাংশ জানিয়েছেন, আগামী দিনে ফের এমন ঘটলে তাঁরা অনুষ্ঠান বয়কট করবেন।
কলকাতা মেডিক্যালে বিভিন্ন বিতর্কে নির্মলের নাম জড়াতে থাকায় তাঁকে শেষমেশ রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয়। তার পরেও কেন এবং কোন পদাধিকারে নির্মলকে ডাকা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পড়ুয়ারা। কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি অংশের দাবি, নির্মল বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। তাই হয়তো তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বর্তমান চেয়ারম্যান, বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, ‘‘চন্দননগরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মেডিক্যাল কলেজে কী ঘটেছে, জানি না।’’ নির্মলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি।