TMC Brigade Rally

ব্রিগেডে পরিশুদ্ধ জল পৌঁছতে রাস্তায় দেখা গেল ভ্রাম্যমান এটিএম

দু’টি ভ্রাম্যমান জলের এটিএম ভ্যান এ দিন ছিল মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির ঠিক উল্টোদিকে।

Advertisement

সিজার মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৫১
Share:

রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভ্রাম্যমান জলের এটিএম।—নিজস্ব চিত্র।

লাখো লাখো মানুষের সমাবেশ। এত দিন ব্রিগেডে যে কোনও দলের সমাবেশেই পানীয় জলের জোগানের জন্য থাকত পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক বা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের জলের গাড়ি। অনেকেই সেই জল খেতে চাননা। তাঁদের পছন্দ প্যাকেজড জলের বোতল।

Advertisement

এবার ব্রিগেডে তাই বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিতে এল জলের ভ্রাম্যমান এটিএম। টোটো গাড়িতে পরিশুদ্ধ জলের ট্যাঙ্ক। কয়েন ফেললেই মিলবে জল। ৩০০ মিলিলিটার জল মিলবে কাগজের গ্লাসে। দাম মাত্র দু’টাকা। দু’লিটারের দাম মাত্র আট টাকা।

এ রকম দু’টি ভ্রাম্যমান জলের এটিএম ভ্যান এ দিন ছিল মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির ঠিক উল্টোদিকে। জে অ্যান্ড এস নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাজ্য সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ওই ভ্রাম্যমান জলের গাড়ি নিয়ে এসেছিল। সংস্থার অন্যতম কর্ণধার জয় শতপথি বলেন, “পুজোর সময়েই এই গাড়ি রাস্তায় নামানোর কথা ছিল। কিন্তু কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। এ দিন আমরা এই পরিষেবা দিতে পারলাম ব্রিগেডে আসা মানুষদের।” তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি গাড়িতে সাড়ে ৪০০ লিটার জল ধরে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শনিবারের ব্রিগেড, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কে, কী বললেন?​

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অভাব নেই, বর্ণময় ব্রিগেড থেকে বিজেপির কটাক্ষের জবাব মমতার​

এটা পাইলট প্রোজেক্ট হলেও এক বছরের মধ্যে ১৪২টি এ রকম ভ্রাম্যমান গাড়ি রাস্তায় নামবে। ব্রিগেড বা পুজোর মতো বড় জন সমাবেশে মানুষদের জল পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও সারা বছর কলকাতার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে এ রকম গাড়ি রাখা হবে।

এ দিন ওই জলের গাড়ি পেয়ে বেজায় খুশি অনেকেই। কারণ বাজারচলতি বোতলের থেকে অনেক কম দামে মিলছে ঠান্ডা জল। নদিয়ার ধুবুলিয়া তেকে এ দিন ব্রিগেডে এসেছিলেন ময়না মালিক। পুরসভার জলের ট্যাঙ্ক ছেড়ে পাঁচ টাকা দিয়ে এক লিটার জল কিনলেন জলের এটিএম থেকে। তিনি বললেন, ‘‘আরও এ রকম গাড়ি থাকলে খুব ভাল হত। ট্যাঙ্কের জল খেতে ভরসা হয় না।’’

জয়ের দাবি, ভবিষ্যতের ব্রিগেডে আরও অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে তাঁরা পরিশুদ্ধ জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement